সিরিয়া ও ইয়েমেনে ছায়াযুদ্ধে লিপ্ত সৌদি আরব ও ইরান। আঞ্চলিক নানা বিষয়ে উভয় দেশের মতানৈক্য চরমে। তা সত্ত্বেও দেশ দুটি সম্প্রতি কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠায় চুক্তি করেছে। এই পদক্ষেপের কারণ কী? লিখেছেন তৃষা বড়ুয়া
ঐতিহাসিক পদক্ষেপ
মধ্যপ্রাচ্যের দুই শক্তিশালী দেশ সৌদি আরব ও ইরান। আঞ্চলিক নানা ইস্যু নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে দেশ দুটির মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এই উত্তেজনার মধ্যেই সৌদি আরব ও ইরানকে এক টেবিলে বসিয়েছে চীন। শুধু তাই নয়, মধ্যপ্রাচ্যের দেশ দুটির মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরেও ভূমিকা রেখেছে দেশটি। এতে স্বাভাবিকভাবেই বিস্মিত হয়েছেন বিশ্বনেতারা। বিশেষ করে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল এমন পদক্ষেপের জন্য একেবারেই প্রস্তুত ছিল না। চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে টানা চার দিন অপ্রকাশিত বৈঠকের পর চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ইরান ও সৌদি আরব তাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয়। তাদের ওই ঘোষণা, পশ্চিম এশিয়া পুনর্বিন্যাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। একই সঙ্গে দেশ দুটির কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত ভূরাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বড় ধরনের হুমকি হিসেবেও দেখছেন তারা। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানায়, নিরাপত্তা সহযোগিতা চুক্তি, দুই মাসের মধ্যে নিজ নিজ দেশে দূতাবাস পুনরায় চালু এবং বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান পুনরুজ্জীবিত করার মধ্য দিয়ে সাত বছরের বৈরী সম্পর্ক থেকে বের হয়ে আসতে সম্মত হয়েছে ইরান ও সৌদি আরব।