রমজান মাসে সেহরি, ইফতার দুটিই আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেহরি, ইফতার— এই দুই সময় আমরা যে খাবার গ্রহণ করে থাকি, সেই খাবার থেকেই আমাদের দৈনিক ক্যালরি, ভিটামিন ও মিনারেলের চাহিদা পূরণ করতে হয়। তাই ব্যস্ততার মধ্যেও সময় বাঁচিয়ে ইফতারি ও সেহরিতে স্বাস্থ্যেকর কিছু রান্না করতে হয়। আর এমন সময় প্রত্যেকেই চান সময় বাঁচিয়ে সহজে পুষ্টিকর কিছু রান্না করতে। ব্যস্ততম এ জীবনে সহজেই পুষ্টিকর খাবার তৈরির করতে জেনে নিতে পারেন কিছু সহজ টিপস। যার মাধ্যমে আপনার সাহরি আর ইফতারের সময় সহজেই তৈরি করতে পারেন স্বাস্থ্যেকর নানা পদ।
চলুন জেনে নেই টিপসগুলো-
ছোলা: ইফতারির পাতে ছোলা, পেঁয়াজু পছন্দ করেন অনেকেই। সে ক্ষেত্রে দুই–তিন কেজি ছোলা সেদ্ধ করে রাখা যায় একসঙ্গে। প্রতিদিনের জন্য যেটুকু প্রয়োজন, আলাদা আলাদা বক্স করে ডিপ ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন। প্রতিদিন একটি বক্স রান্নার কিছুক্ষণ আগে বের করলেই হলো।
পেঁয়াজু: পেঁয়াজুর সব উপকরণ মেখে পেঁয়াজু বানিয়ে ডিপ ফ্রিজে রাখুন। পেঁয়াজু বরফ হয়ে গেলে প্রতিদিনের প্রয়োজন অনুযায়ী আলাদা আলাদা বক্স অথবা জিপার ব্যাগে সংরক্ষণ করতে পারেন। ইফতারের আগে ফ্রিজ থেকে বের করে ভেজে নিতে পারেন।
ডিম আলুর মজাদার পদ: এ লকডাউনের সময় আলু, পেঁয়াজ, ডিম সব বাসায়ই থাকে। বেগুনির বিকল্প হিসেবে বেগুনের পরিবর্তে পেঁয়াজ গোল করে কেটে ব্যবহার করতে পারেন। এ ছাড়া আলু পাতলা করে কেটে ব্যবহার করতে পারেন। আলু ও ডিম সেদ্ধ করে তাতে সামান্য পুদিনাকুচি, লেবুর রস, চাট মসলা ও লবণ মেখে সালাদ তৈরি করে নিতে পারেন। সেদ্ধ বুট থাকলে এর সঙ্গে দিয়ে দিন। বুটের ডাল ভিজিয়ে পানি ঝরিয়ে রেখে দিন। এরপর নরম কাঁচা বুটের ডালের সঙ্গে আদাকুচি, টমেটোকুচি, লবণ, পুদিনাকুচি, লেবুর রস, কাঁচা মরিচকুচি মেখে নিলেই তৈরি হয়ে গেল সালাদ। সকালে বুট ভিজিয়ে রেখে সব উপকরণ মিশিয়ে এ সালাদ ইফতারিতে খেতে পারেন।