পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কোম্পানির কেন্দ্রের ‘মেয়াদ’ শেষ হলে কী হবে, বিনিয়োগকারীদের সেই সংশয়ের সুরাহা এখনও বাকি; এরমধ্যে আরও কিছু কেন্দ্রের সময় যত ফুরাচ্ছে বাজারের বর্তমান অবস্থায় বিনিয়োগ নিয়ে দুশ্চিন্তাও বাড়ছে তত।
নতুন করে এসব কেন্দ্র থেকে সরকার বিদ্যুৎ কেনার মেয়াদ না বাড়ালে কোম্পানিগুলো কী করবে সেই পরিকল্পনা সুস্পষ্ট না হওয়ায় এগুলোর শেয়ারে সাধারণ ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বিপুল বিনিয়োগ অনিশ্চয়তার মুখে পড়ার বিষয়টি সামনে আসতে শুরু করেছে।
নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সরকার বিদ্যুৎ কিনবে এমন ‘মেয়াদি’ কেন্দ্র পরিচালনাকারী সাতটি কোম্পানির মধ্যে বছর দুয়েক আগে খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (কেপিসিএল) দুটি কেন্দ্রের চুক্তি ফুরালে বিদ্যুৎ কেনা বন্ধ রাখে সরকার; তখনই আলোচনায় আসে বিষয়টি। সেসময় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির তোড়জোড়ে আরও কিছুদিন বিদ্যুৎ কিনতে সম্মতি দেয় সরকার; হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন বিনিয়োগকারীরা।
তবে বিদ্যুৎ কেনার নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষ হলে তালিকাভুক্ত এমন সব কোম্পানির ভবিষ্যৎ প্রশ্ন এখনও অমীমাংসিতই রয়ে গেছে।
রহমান আজিজ নামের এক বিনিয়োগকারী জানান, ২০২০ সালে কেপিসিএলের দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আলোচনা শুরু হলে এটির শেয়ার কিনেছিলেন ৪৮ টাকা দরে। এখন বেঁধে দেওয়া সর্বনিম্ন দর বা ফ্লোর প্রাইস ২৬ টাকা ৬০ পয়সাতে বসিয়েও বিক্রি করতে পারছেন না।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “কী করব কিছুই জানি না। কোম্পানি কী করবে, সেটাও তো বলে না।”
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) আশা করছে কোম্পানিগুলো ব্যবসায় বৈচিত্র্য আনবে।
কমিশনের মুখপাত্র নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম এমন আশার কথা জানিয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডট্কমকে বলেন, “তাদের মেশিনারিজ আছে। জার্মান বা নরওয়ে বা এমন ইউরোপীয় দেশ থেকে যন্ত্রপাতি এনেছে। সরকারের তো বিদ্যুৎ লাগবে। কাজেই চুক্তি নবায়ন হবে, এটা আমাদের প্রত্যাশা। আর যদি নাও হয়, তাদের তো জমি, ভবন থাকবে। বিদ্যুৎ না হলে অন্য পণ্য বা সেবা আনবে।”
তবে ইতোমধ্যে চুক্তির সময় বাড়ানোর সুযোগ পাওয়া কেপিসিএল কিংবা বিদ্যমান চুক্তির মেয়াদ কমতে থাকা অন্য কেন্দ্র পরিচালনাকারী কোম্পানিগুলো এখন পর্যন্ত এ বিষয়ক ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানায়নি।