অবৈধ গ্যাস সংযোগ নিয়মিতই অপসারণ করে বিতরণ কোম্পানিগুলো। কিন্তু এই অবৈধ সংযোগের সঙ্গে গ্যাস বিতরণ কোম্পানির এক শ্রেণির অসাধু কর্মকর্তাও জড়িত। তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থাই গ্রহণ করা হয় না। এক দিক দিয়ে এসব লাইন অপসারণ করলেও আরেক দিক দিয়ে আবার সংযোগ দেওয়া হয়ে যায় বলে অভিযোগ রয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে এসব অবৈধ সংযোগের সঙ্গে যোগসাজশ রয়েছে এমন কর্মীদের তালিকা প্রস্তত করে তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বিতরণ কোম্পানিগুলো বিষয়টি মন্ত্রণালয়কে জানায়নি। এর মধ্যেই অবৈধ সংযোগ গ্রহণকারীদের জরিমানা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে জ্বালানি বিভাগ। তবে এটা কী পরিমাণ বাড়ানো হতে পারে তা জানা যায়নি।
জ্বালানি বিভাগ সূত্র বলছে, গ্যাস বিপণন বিধিমালা সংশোধনে সময় লাগছে। এক্ষেত্রে শুধু জরিমানার অংশটি সংশোধন করে দ্রুত তা বাস্তবায়ন করতে চায় জ্বালানি বিভাগ।
জ্বালানি বিভাগের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, সাম্প্রতিক একটি মিটিং এ বিষয়টি উত্থাপন করা হয়। ওই মিটিংয়ে জ্বালানি সচিব ড. খায়রুজ্জামান মজুমদার নির্দিষ্ট ছকে এ ধরনের অসাধু কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানানোর জন্য আবারও নির্দেশ দেন।
জ্বালানি সচিবের সই করা ওই সভার কার্যপত্রটি বাংলা ট্রিবিউনের প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। তাতে দেখা যায়, গত ১৩ মার্চ এতে সই করেছেন জ্বালানি সচিব। ওই কার্যপত্রে অবৈধ গ্যাস ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৈঠকটিতে যুগ্মসচিব প্রশাসন মোহাম্মদ ফারুক হোসেন অবৈধ গ্যাস সংযোগ ও অবৈধ পাইপলাইন অপসারণ কার্যক্রমের তথ্য উপস্থাপন করেন। ওই তথ্যে পেট্রোবাংলা থেকে অবৈধ সংযোগ দেওয়ার কাজে ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির জড়িত কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের বিরুদ্ধে গৃহীত ব্যবস্থার তথ্য পাঠানো হয়নি বলে অভিযোগ করেন।
জানা গেছে দেশের ছয়টি গ্যাস বিতরণ কোম্পানি গত জানুয়ারিতে মোট এক হাজার ৯৮৯টি অভিযান পরিচালনা করে। এসময় ১৩ হাজার ৮৮৭টি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে। বিচ্ছিন্নকৃত বার্নারের সংখ্যা ৩১ হাজার ৪৩২টি, অপসারণকৃত পাইপলাইনের দৈর্ঘ্য ৩৫ দশমিক ৬ কিলোমিটার ও অবৈধ সংযোগের বিপরীতে দায়েরকৃত মামলার সংখ্যা ৯টি।
তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হারুনুর রশিদ মোল্লাহ বলেন, অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। প্রায় প্রতিদিন আমরা বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করছি।