চলার পথে অনেকেই বন্ধু হয়। তবে সবার সঙ্গে একই রকম বন্ধুত্ব হয় না। কারও কারও সঙ্গে গড়ে ওঠে আত্মার সম্পর্ক। বন্ধুত্বের সবচেয়ে বড় বিষয়টি হচ্ছে সুসম্পর্ক ধরে রাখা। বন্ধুর সঙ্গে চলাফেরা বা আচার-ব্যবহারে একটু এদিক-সেদিক হলেই সুসম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায়। ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে বন্ধুত্ব ভেঙে যাওয়ার কিছু কারণ । যেমন-
১. বন্ধুর অনুভূতি, বিশ্বাস, কিংবা মতামতকে মূল্যায়ন না করলে বা সম্মান না জানালে ভেঙে যেতে পারে বন্ধুত্ব।
২. বন্ধুর ব্যক্তিগত কোনো বিষয় তাকে না জানিয়ে অন্যকে জানালে সম্পর্কে অবিশ্বাস তৈরি হয়। এতে দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব ভেঙে যায়।
৩. বন্ধুর সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হলে দুজনের মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়। এতে নষ্ট হয় বন্ধুত্ব।
৪. সবসময় নিজের প্রয়োজনে বন্ধুকে ব্যবহার করলেও ধীরে ধীরে বন্ধুত্ব ভেঙে যেতে পারে।
৫.বন্ধুর কাছ থেকে বড় কোনো সত্য লুকালে দুজনের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝি, বিশ্বাসের ভিত নষ্ট হতে পারে।
৬. কাছের বন্ধু হলেও বন্ধুত্বের একটা সীমানা বা ব্যক্তিগত পরিসর থাকা উচিত। সেটা অতিক্রম করলেও বন্ধুত্বের সম্পর্কে অস্বস্তি তৈরি হয়।
৭. সারাক্ষণ বন্ধুকে দোষারোপ করা বা তাকে নেতিবাচক কথা বললেও বন্ধুত্ব ভেঙে যেতে পারে।
৮. বন্ধুত্ব ধরে রাখতে কোনো আগ্রহ না দেখালে সে সম্পর্ক টিকে থাকে না।