সৌখিন রান্না হোক বা ত্বক-চুলের চর্চায় আমাদের নির্ভরতা বিশুদ্ধ ঘি-এ। খাঁটি ঘিয়ের উপকারিতা অনেক, কিন্তু নকল ঘি খেলে বা ত্বকে ব্যবহার করলে উপকার তো হয়ই না বরং ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
উপকারিতা-
শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, হজমে সাহায্য করে, শরীরের দুর্বলতা সারিয়ে তুলতে ঘিয়ের জুড়ি মেলা ভার। ত্বকে আর্দ্রতা ধরে রাখে ভিটামিন ই ও কে সমৃদ্ধ ঘি। এসব উপকারিতা পেতে আমরা আসল ঘি খোঁজ করি।
আজকাল সবাই বলছেন পাবনার ঘাঁটি ঘি আপনার ঘরে পৌঁছে দিচ্ছে, কিন্তু আসলেই ঘি খাঁটি কিনা এটা চেনার উপায় জানেন তো? না জানলে তো ঠকতে হবে। সহজে চিনবেন কী করে, আসুন জেনে নিন:
এক চামচ ঘি হাতের তালুতে নিন। তার পর সেই ঘি দুই হাতে ঘষুন। যদি দেখেন দানার মতো কিছু ঘঁষা খাচ্ছে, তা হলে বুঝবেন ঘি আসল নয়। এছাড়া ১৫ মিনিট পর যদি হাতে থেকে ঘিয়ের গন্ধ না থাকে, তাহলেও বুঝবেন ঘি নকল।
একটি পাত্রে এক চামচ ঘি ঢালুন। তারপর তাতে কিছুটা চিনি ও হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড মিশিয়ে দিন। ঘিয়ের রং বদলে লাল হলে বুঝবেন রাসায়নিক মেশানো হয়েছে। এক চামচ ঘি-তে আয়োডিন ফেলেও দেখতে পারেন। ঘিয়ের রং নীল হলে বুঝবেন নকল। আর যদি তরলের রঙের কোনো পরিবর্তন না হয় তাহলে বুঝতে হবে বিশুদ্ধ বা আসল।