শিশুসন্তানের ঠোঁটে ঠোঁট রেখে ছবি পোস্ট করায় অভিনেত্রী ছবি মিত্তলকে ঘিরে সমাজমাধ্যমে চর্চার শেষ নেই। পুত্রের ঠোঁটে চুম্বন করায় অনেকেই তাঁকে কুকথা বলেছিলেন। ছেড়ে কথা বলেননি অভিনেত্রীও। ইনস্টাগ্রামে ছবি লেখেন, “মা তার সন্তানকে কী ভাবে ভালবাসবে, তা নিয়েও কারও কারও আপত্তি থাকে দেখছি। এ তো অকল্পনীয় ব্যাপার!”
ছবির এই মন্তব্যের সমর্থনে এগিয়ে আসেন অনেক মা-ই। তাঁরাও নিজের সন্তানের সঙ্গে একই ভঙ্গিতে ছবি তুলে ভাগ করে নিয়েছেন ছবির সঙ্গে সমাজমাধ্যমের পাতায়। সকলেরই একই মত, ‘আমার সন্তানকে আমি কী করে ভালবাসব, তা নিয়ে কারও কোনও মন্তব্য থাকতে পারে না।’ সমাজমাধ্যমে ছবি সেই মায়েদের তাঁকে সমর্থন জানানো দেখে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি লেখেন, ‘‘আমি মনে করি সবার উপরে ভালবাসা সত্য। যদি ধরে নিই খুদেকে চুমু খাওয়া স্বাস্থ্যসম্মত নয়, সেই বিচারে তো সব চুম্বনই নিষিদ্ধ হওয়া উচিত। অভিভাবক হিসেবে আমার সবচেয়ে বড় দায়িত্ব হল ছেলেমেয়েকে ভালোবাসা এবং তাদের নিরাপদ বোধ করানো। খুদেদের ভাল স্পর্শ ও খারাপ স্পর্শের শিক্ষা ৭ বছরের আগেই শুরু হয়ে যাওয়া উচিত। আমার দায়িত্ব আমার সন্তানদের সুরক্ষিত রাখা। আমি চাই না ওদের মনে ভাল স্পর্শ ও খারাপ স্পর্শ নিয়ে কোনও রকম ধন্দ থাকুক। আমাদের পছন্দ না হলেও আমাদের সন্তানেরা বাইরের জগৎ থেকে অনেক কিছুই শিখে নেয়। তবে বাবা-মায়ের সঙ্গে তারা যদি একাত্ম বোধ করতে না পারে, তা হলে আপনারা জানতেই পারবেন না যে তারা বাইরে থেকে কী কী শিখছে। তাই আমি আমার সন্তানদের আমার মতো করে ভালবাসব। চুমু খাব, জড়িয়ে ধরব, নাচ করব! আপানাদেরও লোকে কী বলল তাতে কান না দিয়ে, তাই-ই করা উচিত।’’
শুধু ছবি নন, এর আগে অভিনেত্রী ঐশ্বর্যা রাই বচ্চনও মেয়ে আরাধ্যার ঠোঁটে ঠোঁট রেখে ছবি দিয়েছিলেন। তখনও তাঁর এই আচরণের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন নেটাগরিকরা। সন্তানদের ঠোঁটে চুমু খাওয়া কি ঠিক?
অনেকে বলেন, ঠোঁটে চুমু খাওয়ার মধ্যে কোনও যৌনতার চিহ্ন নেই। একে অপরের প্রতি স্নেহ দেখানোর কৌশল মাত্র। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, সন্তানকে চুমু খেলে, জড়িয়ে ধরলে তা শিশুর সঙ্গে অভিভাবকের সম্পর্ক গভীর হয়। অনেক চিকিৎসকরা আবার বলছেন, ‘‘এখন চারদিকে ভাইরাল সংক্রমণের দাপট। কোভিডের পর অ্যাডিনো, এইচ৩এন২ ভাইরাস কিছু কিছু ক্ষেত্রে শিশুদের প্রাণও কেড়ে নিচ্ছে। সেই দিক থেকে দেখতে গেলে শিশুর স্বাস্থ্যের দিকটা বিচার করলে ঠোঁটে ঠোঁট রেখে চুমু খাওয়া উচিত নয়।’’