মূল মাঠের ডিজিটাল স্কোরবোর্ড অকেজো, ফ্ল্যাডলাইট সব চুরি হয়ে গেছে, দর্শক ছাউনি ও আসন ভাঙা, প্রেস বক্সে বসার মত অবস্থা নেই, ভিআইপি গ্যালারি আর খেলোয়াড়দের ড্রেসিং রুমও ব্যবহারের অনুপযোগী।
ওদিকে আউটার স্টেডিয়াম কচুরিপানায় ভরপুর, একপাশে হচ্ছে সবজির চাষ। বর্ষা মৌসুমে থৈ-থৈ পানি গড়িয়ে আসে মূল মাঠের মধ্যে।
নামে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচের ভেন্যু হলেও নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় অবস্থিত ‘খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়াম’টির অবস্থা বাস্তবে এমনই। এমনকি স্টেডিয়ামের নামফলকের লেখাটিও উঠে গেছে।
জেলা ক্রীড়া সংস্থা, ক্রিকেট স্ট্যান্ডিং কমিটি এবং খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, আন্তর্জাতিক এই স্টেডিয়ামটির এমন দশার পেছনে রয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ-বাংলাদেশ (এনএসসিবি) এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ‘দ্বৈরথ’। অবহেলা আর উদাসীনতা তো রয়েছেই।
বছর দুয়েক আগে মাঠটি সংস্কারে উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা আলোর মুখ দেখেনি। গত সাত বছরে স্টেডিয়ামে কোনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ গড়ায়নি; জাতীয় কোনো গুরুত্বপূর্ণ খেলাও সেখানে হয় না। তবে মাঠটি এখনও পরিত্যক্ত হয়নি; কোনো মতে ক্রিকেটের ঘরোয়া লীগ চালিয়ে নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার একজন কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এনএসসিবির টাকা নেই। অন্যদিকে এই মাঠ সংস্কারের জন্য ইনভেস্ট করতে চায় বিসিবি। কিন্তু তারা এই মাঠের পুরো কর্তৃত্ব চায়। সরকারি এই দুই সংস্থার মধ্যে আন্ডারস্ট্যান্ডিং না হওয়ায় এখন পর্যন্ত মাঠটি এইভাবে পড়ে আছে।
“এই মাঠটি নারায়ণগঞ্জে হলেও পুরো মাঠটির দেখভালের দায়িত্বে এনএসসিবি। তারা চাইলে সংস্কার হবে। আর না চাইলে এইটাও আরেকটা শহীদ চান্দু স্টেডিয়াম (বগুড়া) হবে। আমাদের আসলে কিছু করার নেই। আমরা কেবল আক্ষেপই করতে পারি।“
জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহসভাপতি ও ক্রিকেট স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি ফারুক বিন ইউসুফ পাপ্পু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিসিবি ও এনএসসিবির মধ্যে এক ধরনের ইস্যু আছে। তবে মাঠটি সংস্কারের ব্যাপারে কথাবার্তা এগোচ্ছে। আমরা আশা করি, মাঠটির গুরুত্ব বিবেচনা করে মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবে।”