ডিম-সবজিতে টিকে আছে মেসের শিক্ষার্থীরা

জাগো নিউজ ২৪ প্রকাশিত: ১৮ মার্চ ২০২৩, ০৮:০৭

আগে সপ্তাহে দুই দিন গরুর মাংস খেতাম। দাম বেড়ে যাওয়ায় সেটা খাইনি ছয় মাস। ব্রয়লার মুরগি আমিষের চাহিদা মেটাতো, এখন সেটারে দামও বেড়ে গেছে। ফলে সেটাও আর মেসে আসে না। ডিম আর সবজি এখন আমাদের নিত্যসঙ্গী। যেভাবে দাম বাড়ছে হয়ত ডিমও মেসে আসা বন্ধ হয়ে যাবে। মিল আগে ২০-২৫ টাকায় হতো এখন সেটা ৩০-৩৫ টাকা। তারপরও ভালো খেতে পারছি না। এমনকি সবজির পরিমাণটাও কম পাই। এভাবে না পারছি খেতে না পারছি কাউকে কিছু বলতে।’


অনেকটা আক্ষেপ নিয়েই কথাগুলো বলছিলেন নীলফামারীর মিতি-তাছিন ছাত্রাবাসের ছাত্র সাজ্জাদুর রহমান সাজু। সাজুর মতো একই অভিযোগ উত্তরের জেলা নীলফামারীর মেস ও ছাত্রাবাসে অবস্থান করা প্রায় ২০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর। নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক দামবৃদ্ধির ফলে মেসের খাবারের তালিকা থেকে বাদ পড়েছে গরু ও মুরগির মাংসসহ পুষ্টিকর খাবার। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছেন হাজারো শিক্ষার্থী।


সরেজমিনে জেলা শহরের খালিদ ছাত্রাবাসা, মহসিন ছাত্রাবাসসহ বেশ কয়েকটি ছাত্রাবাসে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে মেসের চুলায় রান্না হয় না গরুর মাংস। আমিষের চাহিদা মেটাতে মেসগুলোতে ব্রয়লার মুরগির মাংস খাওয়া হলেও দু’মাস ধরে সেটিও প্রায় বন্ধের উপক্রম। তাই বাধ্য হয়েই অনেক মেসে দুপুরে ডিম-সবজি ও রাতে শুধু সবজি খেয়ে কোনো রকম টিকে আছে শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে ডিমের দাম বাড়লে সেটিও বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা৷ এমন অবস্থা চলতে থাকলে শিক্ষার্থীদের আমিষের পাশাপাশি পুষ্টির অভাব হতে পারে বলে ধারণা স্বাস্থ্য সচেতনদের।


জেলা শহরের উকিলের মোড় এলাকার খালিদ ছাত্রাবাসের ছাত্র মো. রাসেল ইসলাম। চার মাস আগে গরুর মাংস খেয়েছিলেন মেসে এমন আক্ষেপ জানিয়ে বলেন, আগে মিল ছিল ২০-২৫ টাকা। সপ্তাহে ২-৩ দিন গরুর মাংস খেতাম৷ মুরগিতো প্রতিদিনই থাকতো। ইদানিং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে গরুর মাংসতো দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে। মুরগিও সচরাচর থাকে না। প্রতিদিন ডিম খেতে হচ্ছে। অনেক সময় পুরো ডিমও পাই না, অর্ধেক খেতে হয়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us