সৌদি-ইরান চুক্তিতে মধ্যপ্রাচ্যে পরিবর্তনের বার্তা

সমকাল মারওয়ান বিশারা প্রকাশিত: ১৮ মার্চ ২০২৩, ০২:০১

গত ১০ মার্চ সৌদি আরব ও ইরান তাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছে বলে ঘোষণা করেছে। এটা ভালো সংবাদ। এ ধরনের চুক্তি উভয়েরই এ মুহূর্তের প্রয়োজন ও আকাঙ্ক্ষার বাহিঃপ্রকাশ। সৌদি-ইরানের মধ্যকার সংঘাত অবসান উভয়ের জন্যই প্রয়োজন। কারণ তা উভয়ের জন্যই ব্যয়বহুল এবং ক্ষতিকর বলে প্রমাণিত। মধ্যপ্রাচ্যের জন্যও তা বিপর্যয়কর। যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার রেখে যাওয়া কৌশলগত শূণ্যতা পূরণে এবং নিজেকে বিশ্বস্ত বৈশ্বিক অংশীদার হিসেবে প্রমাণ করতে চীন এখানে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করছে।


বিগত দুই বছরের কঠিন আলাপ-আলোচনার পর চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বীরা কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পর রাতারাতি দেবদূতে পরিণত হবে– এমনটা আশা করা যাবে না। এখনও উভয়ের মধ্যে অনাস্থা ও বিরোধের অনেক বিষয় আছে, যেগুলোর নিষ্পত্তি ও সমাধান ছাড়া সম্পর্ক মসৃণ হবে না।


জাতীয় স্বার্থ দ্বারা পরিচালিত হলে এবং রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক লাভ-ক্ষতির কথা মাথায় থাকলে নবায়নকৃত সম্পর্কটি কার্যকর সম্পর্কে পরিণত হতে পারে। এর বিপরীতও হতে পারে, যদি তা নিছক পরস্পরবিরোধী মতাদর্শ এবং আঞ্চলিক এজেন্ডা দ্বারা প্রভাবিত হয়। রিয়াদ-তেহরান ১৯৯৮ এবং ২০০১ সালে স্বাক্ষরিত সহযোগিতা ও নিরাপত্তা চুক্তিগুলো পুনরায় সক্রিয় করতে একমত হয়েছে। কিন্তু এক যুগব্যাপী চলমান শত্রুতার পরিপ্রেক্ষিতে দু’দেশের সম্পর্ক ১৯৯০-এর পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া অসম্ভব না হলেও চ্যালেঞ্জিং।


সত্যিই, তাদের সাম্প্রদায়িক ব্যঞ্জনাসমৃদ্ধ পরের মুখে ঝাল খাওয়ার নীতি সম্পূর্ণ ধ্বংসাত্মক বলে প্রমাণিত। এর কারণে দুই দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ক্ষুণ্ন হয়েছে; অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত এবং সমাজ হয়েছে ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন। তারা একে অপরের বিষয়ে যত বেশি হস্তক্ষেপ করেছে; তত ইয়েমেন, সিরিয়া, ইরাক, লেবানন ও বাহরাইনের লোকেরা ভোগান্তিতে পড়েছে।


এ কারণে  আঞ্চলিক পরাশক্তি হওয়ার চেষ্টা তাদের কাউকেই মুক্তির পথ দেখাবে না। নতুন  ও জটিল আঞ্চলিক ব্যবস্থার আলোকে অথবা যে হযবরল অবস্থার মধ্যে তারা এখন আছে, যা তারা নিজেরাই সৃষ্টি করেছে– দু’দেশকে অবশ্যই এমন একটি নতুন ও টেকসই পথের সূচনা করতে হবে, যা তাদের জাতীয় স্বার্থের জন্য তো বটেই; প্রতিবেশীদেরও স্বার্থের অনুকূল হবে।


এ জন্য তাদেরকে প্রথমেই একে অন্যের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ থেকে বিরত থাকতে হবে। মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য সমাজকে হেয় করার পেছনে– যে পথ ধরে শুরু হয় অস্ত্র প্রতিযোগিতা; সম্পদের অপচয় বন্ধ করতে হবে।
অন্যান্য দেশের জনগণের মতো ইরানি ও সৌদিরাও চাইবে তাদের নেতারা অন্য দেশে নৈরাজ্য ছড়ানো বা বাহাদুরি প্রদর্শনের পরিবর্তে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় ও গণতান্ত্রিক সম্প্রীতি মজবুতকরণে মনোযোগ দিক।


সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার নতুন উপায় হলো, উত্তেজনা ও ক্ষয়ক্ষতি কমানো এবং প্রতিবেশীদের ক্ষতিপূরণ প্রদান করা। প্রকৃতপক্ষে সিরিয়া, ইয়েমেন এবং অন্যান্য দেশের লোকজনের, যারা প্রক্সি সংঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ছিন্নভিন্ন জীবন পুনর্গঠনে সাহায্য করা দুটি তেলসমৃদ্ধ দেশের নৈতিক দায়িত্ব। চীন ও পশ্চিমাদেরও উচিত এতে সহযোগিতা করা।


আমি বিশ্বাস করি, আঞ্চলিক বিষয়ে  হস্তক্ষেপ না করা সবার জন্যই ভালো; বিশেষ করে যেহেতু তাদের আঞ্চলিক প্রভাব বিদেশি শক্তিগুলোকে সেখানে শোষণ চালাতে সহয়াতা করে এবং এর স্বার্থে দেশগুলোর মধ্যে সংঘাত বাড়িয়ে তোলে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us