বিশ্ববিদ্যালয়ে সহিংসতা : ভেতরে কারণগুলো নেই, বলায় বারণ থাকতে পারে

ঢাকা পোষ্ট মানস চৌধুরী প্রকাশিত: ১৫ মার্চ ২০২৩, ১৮:৪৪

অনেক দিন আগে বাংলাদেশে একজন নিরীহ, শান্ত, নম্রভাষী সাবেক বিচারপতি-রাষ্ট্রপতি ছিলেন। তো তিনি ১৯৯৭ সালে একবার শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদপত্র বিলি করার অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন, রাষ্ট্রপতিদের যা সাধারণ কর্তব্য। সেখানে কালো রঙের সোনালি লেইস লাগানো গাউন গায়ে দিয়ে একটা বক্তৃতাও তিনি দিয়েছিলেন।


এটাও রাষ্ট্রপতিবৃন্দের জন্য নৈমিত্তিক কাজ হিসেবেই মানতে হবে। সেই বক্তৃতায় তিনি ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করতে ‘পরামর্শ’ দিয়েছিলেন। তিনিও বাংলাদেশের হইচই সিভিল সমাজের কণ্ঠস্বরকে চিনতেন এবং সাব্যস্ত করেছিলেন ‘কেষ্টা ব্যাটাই চোর’। যত নষ্টের গোড়া এই ছাত্র রাজনীতি ক্যাম্পাস থেকে উৎখাত করার পরামর্শ তিনি দিচ্ছিলেন ক্যাম্পাস প্রশাসনকে।


তার এরকম ভালোমানুষিও অনেকের সহ্য হয়নি। আমারও হয়নি। আমি তদানীন্তন আজকের কাগজ পত্রিকায় ‘পরামর্শদানের রাজনীতি’ বলে একটা রচনা লিখেছিলাম। আজকের বাংলাদেশে এরকম একটা কাজ আমি হয়তো করতাম না। 


আমার রচনায় আমি কী লিখেছিলাম অবশ্যই আজ তা মনে নেই। তখন কম্পিউটার ব্যবহার করতাম না যে, এখন আবার রচনাটা খুলে একটু পড়ে নেব। তবে আমি নিশ্চিত যে পরামর্শটা কাকে দিচ্ছেন তিনি, কেন দিচ্ছেন, বিদ্যমান এই ক্ষমতার কারিগরি বা জারিজুরি তিনি আদৌ বোঝেন কি না, নাকি বুঝেও নিছক নিরীহ ভালো মানুষই থাকতে চাইছেন এসব প্রশ্ন না রেখে থাকতে পারিনি আমি।


বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যাগুলোর অভ্যুদয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পেটের মধ্য থেকেই হয়ে চলেছে এই আন্দাজটা সম্প্রচারিত করা অত্যন্ত বিরক্তিকর কাজ। যারা বুঝেও এটা করেন তারা একটা পরিষ্কার হঠকারিতা করেন, এমনকি স্পষ্ট প্রতারণা। যারা না-বুঝে এটা করতে থাকেন তারা দায়িত্বশীল পদে থাকলে আহাম্মকিতার অপরাধ করেন। দায়িত্বহীন পদে থাকলে, আমার মাথাব্যথা নেই। যা ইচ্ছে ভাবতে ও মাইক লাগিয়ে ঘোষণা দিতে থাকতে পারেন।


এসব কথা বলার মাধ্যমে আমি কি অমুক বা তমুক উপাচার্য কিংবা তাদের পরিষদের প্রতি আমার ভক্তি শ্রদ্ধা প্রকাশ করে ফেললাম তাহলে? আমি নানান বিশ্ববিদ্যালয়ের পদাধিকারী লোকজনকে কীভাবে দেখি বা তারাও আমাকে কীভাবে দেখেন (মানে যারা একটু চেনেন আরকি) সেইসব ইতিহাসের জন্য অপ্রয়োজনীয় তথ্যাদি। তবে বিভ্রান্তি বা বিচলনের সুযোগ নেই।


আমরা কোনো পক্ষ অন্য পক্ষকে ভালো পাই না। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃস্থানীয় লোকদের আমি মন্দ অভিপ্রায়সম্পন্ন, অদক্ষ, ভীরু, ক্ষমতালিপ্সু আউলা ইত্যাদি মনে করি বলেই সব দোষের নন্দ ঘোষ বানানোর কোনো কারণ পাই না।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us