ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবি: ফরিদপুরের এক উপজেলার ১২ যুবকের নাম

আজকের পত্রিকা প্রকাশিত: ১৫ মার্চ ২০২৩, ১৮:৪১

লিবিয়া থেকে অবৈধ উপায়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি যাওয়ার পথে নৌকাডুবিতে ১৭ জন উদ্ধার ও ৩০ জন নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার ১২ জন থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা করছে তাঁদের পরিবারের সদস্যরা। 


এর আগে ভূমধ্যসাগরে অভিবাসীবাহী নৌকাডুবির পর গত সোমবার ১৭ জনকে উদ্ধার করা হয়। ইতালির স্থানীয় পত্রিকার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, উদ্ধার করা ১৭ জন অভিবাসীর সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। ইতালির উদ্দেশে যাওয়া নৌকাটি গত রোববার বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে পড়ে ডুবে যায়।


এ দিকে ফরিদপুরের নিখোঁজ ১২ যুবকের পরিবারের সদস্যরা চরম উৎকণ্ঠার মধ্য দিয়ে সময় পার করছেন। তাঁদের সন্তানেরা বেঁচে আছেন নাকি মারা গেছেন তা জানতে পারছেন না।


নগরকান্দার ওই ১২ যুবক হলেন উপজেলার কোদালিয়া শহীদনগর ইউনিয়নের আটকাহনিয়া গ্রামের তোরাপ মোল্যার ছেলে শফিকুল ইসলাম রাসেল (৩০), ডাঙ্গী ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর গ্রামের মোস্তফা মাতুব্বরের ছেলে আল আমিন মাতুব্বর (২০), সোবাহান মোল্যার ছেলে মাহফুজ মোল্যা (২২), এসকেন মোল্যার ছেলে নাজমুল মোল্যা (২৩) ও সেকেন ব্যাপারীর ছেলে আকরাম ব্যাপারী (২৭), বাশাগাড়ী গ্রামের ইছাহাক ফকিরের ছেলে স্বপন ফকির (২৭), শংকরপাশা গ্রামের সেকেন কাজীর ছেলে শামীম কাজী (২১), সরোয়ার মাতুব্বরের ছেলে বিপুল (২৫), মালেক শেখের ছেলে বিটুল শেখ(২৫), শ্রীঙ্গাল গ্রামের সলেমান শেখের ছেলে মিরান শেখ (২২), ইদ্রিস শেখের ছেলে তুহিন শেখ (২০) ও নারুয়াহাটি গ্রামের কাশেম তালুকদারের ছেলে শাওন তালুকদার (২২)। পরিবারের সদস্যরা জানান, তাঁরা সবাই স্থানীয় একটি দালাল চক্রের মাধ্যমে অবৈধভাবে ইতালি যাচ্ছিলেন।


নিখোঁজ রাসেলের বাবা তোরাপ মোল্যা জানান, নগরকান্দা উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামের আদম ব্যাপারীর মুরাদ ফকিরের মাধ্যমে ৮ লাখ টাকার চুক্তি হয়। সে লক্ষ্যে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের ৫ তারিখে বাড়ি থেকে ইতালির উদ্দেশ্য রওনা হয়। ৮ জানুয়ারি ঢাকা থেকে একটি ফ্লাইটে ঢাকা ত্যাগ করেন। দুবাই হয়ে গত ১২ জানুয়ারি তাঁরা লিবিয়া পৌঁছায়। দুই মাস লিবিয়ায় অবস্থানের পর গত রোববার সাগর পথে নৌকায় চড়ে ইতালি যাওয়ার পথে নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটে।


ডাঙ্গী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী আবুল কালাম জানান, মুরাদ একজন মানব পাচারকারী। তিনি অবৈধভাবে বিদেশে লোক পাঠিয়ে কয়েক কোটি টাকা আয় করেছেন।


মানব পাচার চক্রের মূল হোতা মুরাদ ফকির পলাতক থাকায় তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে তার সহযোগী বাশাগারী গ্রামের ইমারত মিয়া মোবাইল ফোনে বলেন, ‘আমি মানব পাচারের সঙ্গে জড়িত নই। তবে আমার হাত দিয়ে দুই একজনের টাকা মুরাদকে দিয়েছি মাত্র।’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us