ঋতু পরিবর্তনের সময় চুলের যত্ন নিয়ে যত ভুল ধারণা

বিডি নিউজ ২৪ প্রকাশিত: ১৫ মার্চ ২০২৩, ১৭:০০

ঋতু পরিবর্তনের সাথে চুলের সুস্বাস্থ্য ও উজ্জ্বলতা রক্ষায় যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। তবে এক্ষেত্রে অনেক ভুল ধারণার প্রচলন রয়েছে। 


ভারতের ‘বোম্বায় স্কিন ক্লিনিক’য়ের প্রতিষ্ঠাতা ও ত্বক বিশেষজ্ঞ ডা. বাটুল পাটেল টাইমসঅবইন্ডিয়া ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বিভিন্ন প্রচলিত ভুল ধারণা ও তার সমাধান সম্পর্কে জানান।


ধারণা ১- প্রতিদিন চুল ধোয়া আগা ফাটা সৃষ্টি করে


বিষয় হল, গ্রীষ্মকালে চুল অতিরিক্ত সূর্যালোক, ক্লোরিন ও দূষণের ফলে দ্রুত ময়লা হয়ে যায়। তাই নিয়মিত চুল পরিষ্কার করা প্রয়োজন।


প্রতিদিন সালফেটমুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহারে চুলের প্রাকৃতিক তেল ক্ষতিগ্রস্ত হয় না। চুল পরিষ্কার হয় এবং ঘন ও চকচকেভাব থাকে।  


ধারণা ২- গ্রীষ্মে কন্ডিশনার ব্যবহারে চুল তৈলাক্ত হয়ে যায়


সত্যটা হল- চুল নানান রকম প্রতিকূল অবস্থা যেমন- রোদ ও ক্লোরিনের সংস্পর্শে এসে শুষ্ক, রুক্ষ ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কন্ডিশনার ব্যবহারে চুলের রুক্ষতা ও ক্ষয় হ্রাস পায়।


‘ডিপ কন্ডিশনার’ ব্যবহারে চুল সুস্থ থাকে। চুলের মাঝ থেকে আগা পর্যন্ত কন্ডিশনার ব্যবহার আর্দ্রতা বজায় থাকে।


ধারণা ৩- গরমে তেল ব্যবহারে চুল চিটচিটে হয়ে যায়


বিষয় হল- চুলের ক্ষয় কমাতে, তেল ব্যবহার করা উপকারী। এটা চুলের সুরক্ষা স্তর সৃষ্টি করে। ফলে কোমল ও চকচকেভাব আসে।


তেল ব্যবহারে চুল শক্তিশালী হয়। এতে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড চুলের হারানো লিপিড ফেরত আনতে সহায়তা করে। 

ধারণা ৪- নিয়মিত চুল কাটলে দ্রুত বৃদ্ধি হয়


চুল কাটা চুলের ফলিকল বা গোড়ার ওপর কোনো প্রভাব ফেলে না। ঘন ঘন চুল কাটা কেবল আগা ফাটার সমস্যা কমাতে সহায়তা করে।


ধারণা ৫- একশবার চিরুণির আঁচড় চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে


বার বার জোড়ে জোড়ে চুল আঁচড়ানো চুলের ক্ষতি করে ও আগা ফাটার সমস্যা সৃষ্টি করে।


আলতোভাবে চুল আঁচড়ানো রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় । ভেজা অবস্থায় কখনই চুল আঁচড়ানো ঠিক না। এতে আগা ফাটার সৃষ্টি হয়।


ধারণা ৬- কয়েক মাস পর পর শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার পরিবর্তন করা উচিত


আসলে নানান রকম অবস্থা যেমন- রাসায়নিক ট্রিটমেন্ট, পারিপার্শ্বিক অবস্থা ইত্যাদি বুঝে শ্যাম্পু বা কন্ডিশনার পরিবর্তন করতে হবে।


পরিমিত শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহারে চুল ভালো থাকে।


ধারণা ৭- তেল দিয়ে খুশকির সমস্যা দূর করা


ফাঙ্গাসের কারণে খুশকি দেখা দেয়। তেল দেওয়া খুশকির সমস্যা দূর করে না।


অ্যান্টিড্যান্ড্রাফ শ্যাম্পু এই সমস্যা সমাধানে সহায়তা করে।

ধারণা ৮- গরমে তাপীয় স্টাইলিং যন্ত্র চুলের ক্ষতি করে


সত্য বিষয় হল, তাপীয় যন্ত্র চুলের ক্ষতি করে। এটা কেবল গরমকালে না। এই সকল পণ্য ব্যবহারের আগে ‘হিট প্রোটেকশন’ ব্যবহার করতে হয়।


ধারণা ৯- পানি দিয়ে চুল মসৃণ করা যায়


চুলে পানি দিয়ে মসৃণ ও কোমলভাব আনা যায় না। বরং রুক্ষভাব আনে।


চুল মসৃণ রাখতে আর্দ্রতা রক্ষাকারী পণ্য ব্যবহার করা উচিত।  


ধারণা ১০- গ্রীষ্মকালে চুলের বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে যায়


বিশেষজ্ঞদের মতে, গরমকালে ত্বকের সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। ফলে চুলের বৃদ্ধি ১০ থেকে ১৫ শতাংশ বাড়ার সম্ভাবনা থাকে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us