ইউরিক অ্যাসিড একটি রাসায়নিক, যা শরীরের ভেতরে তৈরি হয়। পিউরিনযুক্ত খাবার অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে হজমের সময় এই বর্জ্য পদার্থ তৈরি হয়। একেবারেই অকেজো এই পদার্থ শরীরে বেড়ে গেলে তা নানা জটিলতার সৃষ্টি করে।
রক্তে ইউরিক অ্যাসিড বেশি হওয়ার লক্ষণ কী?
রক্তে উচ্চ ইউরিক অ্যাসিড থাকাকে হাইপারইউরিসেমিয়া বলে। যার কারণে বাত ও কিডনিতে পাথরও তৈরি হয়। বেশি ইউরিক অ্যাসিডের কারণে জয়েন্টে ব্যথা, ফোলাভাব, বমি বমি ভাব, ঘন ঘন প্রস্রাব, প্রস্রাবে রক্ত পড়ার মতো সমস্যা হতে পারে।
ওষুধ ছাড়াই ইউরিক অ্যাসিড কমানো উপায় কী?
পাবমেডে প্রকাশিত গবেষণা বলছে, আপনি যদি ওষুধ ছাড়াই শরীর থেকে ইউরিক অ্যাসিড দূর করতে চান তাহলে জীবনযাত্রার উন্নতি করতে হবে।
এর জন্য শরীরচর্চা খুবই জরুরি। স্থূলতার কারণে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রাও বেড়ে যায়। পাবমেডে প্রকাশিত গবেষণা দাবি করে, ৩ উপায়ে খুব সহজেই ওষুধ ছাড়া বশে আনা যায় ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা-
সাঁতার কাটা
হাইপারুরিসেমিয়া নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি সাঁতার মনকে শিথিল করে। এর নিয়মিত অনুশীলন শরীরের ভারসাম্য ও ভঙ্গি উন্নত করতে পারে। সাঁতারে প্রচুর ক্যালরি বার্ন হয়, যার কারণে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
সাইকেল চালানো
সাইকেল চালানো যেমন আনন্দের, তেমনই শরীরের জন্য উপকারী। এটি একটি দুর্দান্ত ব্যায়াম, যা পেশীগুলোতে অতিরিক্ত চাপ দেয় না।
যারা উচ্চ ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় ভুগছেন, তাদের অবশ্যই প্রতিদিন কিছু সময়ের জন্য সাইকেল চালাতে পারেন। এতে ইউরিক অ্যাসিডের ব্যথা থেকে মুক্তি মিলবে।
হাঁটা
এই শারীরিক ক্রিয়াকলাপের জন্য কোনো সরঞ্জামের প্রয়োজন নেই। আপনি ঘরে, বাইরে, বারান্দায়, পার্কে বা ছাদে এই ব্যায়াম করতে পারেন। এর সাহায্যে ইউরিক অ্যাসিড কমানোর পাশাপাশি হৃদরোগ ও স্থূলতাও দূর করা যায়।
কোন কোন খাবার থেকে ইউরিক অ্যাসিড তৈরি হয়?
>> সামুদ্রিক খাবার
>> পানীয়
>> লাল মাংস
>> প্রাণীর যকৃত
>> আইসক্রিম, সোডা, ফাস্ট ফুড ইত্যাদি।
ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য জীবনযাত্রার মান উন্নত করার পাশাপাশি নিয়মিত সঠিক চিকিৎসা নেওয়াও জরুরি।
আপনার শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেশি হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে ওষুধ খেতে হবে। পাশাপাশি শরীরচর্চা ও সঠিক খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখতে হবে।