পণ্য জাহাজীকরণের ১২০ দিনের মধ্যে রপ্তানি মূল্য দেশে আনার বিধান রয়েছে। তবে ব্যাংকগুলোর রপ্তানি বিল কেনায় দর বাড়ানোর ফলে ইচ্ছা করেই অনেকে দেরিতে মূল্য প্রত্যাবাসন করছে। ডলার সংকটের এ সময়ে এই পরিস্থিতি ঠেকাতে নতুন নির্দেশনা দিল বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে যখনই রপ্তানি মূল্য দেশে আনা হোক, মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখে নির্ধারিত বিনিময় মূল্যের বেশি রপ্তানিকারককে দেওয়া যাবে না। সোমবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা সব ব্যাংকে পাঠানো হয়।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, নির্ধারিত তারিখের পর মূল্য প্রত্যাবাসন হলে বিনিময় হার বাড়লেও রপ্তানিকারক মেয়াদ পূর্তির তারিখের দর পাবেন। তবে রপ্তানি বিল নগদায়নের সময় যদি কমে, সে ক্ষেত্রে রপ্তানিকারক ওই সময়ের দর পাবেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, গত ১১ সেপ্টেম্বর থেকে ব্যাংকগুলো নিজেরা বসে রপ্তানি ও রেমিট্যান্সে ডলার কেনার সর্বোচ্চ একটি দর ঠিক করছে। রপ্তানি বিল নগদায়নে শুরুতে ৯৯ টাকা দর ছিল। ধাপে ধাপে বাড়িয়ে তা ১০৪ টাকা করা হয়েছে। দর বাড়ানোর এ সুবিধা নিতে অনেকে ইচ্ছা করেই বিল ফেরত আনতে দেরি করছেন। এ রকম পরিস্থিতি ঠেকাতে নতুন এ নির্দেশনা দিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ডলার বাজারে স্বস্তি ফেরাতে রপ্তানি বিল দ্রুত দেশে আনা এবং বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স বাড়াতে সম্প্রতি বিভিন্ন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।