পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন ২০১০ কার্যকর হওয়ার ১৩ বছর পরেও ১৯ ধরনের পণ্য মোড়কে পাটের বস্তার ব্যবহার হচ্ছে না।
পাট চাষি ও পাটকল মালিকদের স্বার্থ রক্ষা ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর প্লাস্টিক ব্যাগের ব্যবহার সীমিত করার জন্য আইনটি প্রণয়ন করা হয়।
কিন্তু আইনটির প্রয়োগ না থাকায় বিপুল সংখ্যক পণ্য মোড়কজাত করা হচ্ছে প্লাস্টিকের ব্যাগেই।
উদাহরণ হিসেবে ধরা যায় চালের কথা।
২০১৫ সালের শেষ প্রান্তিকে সরকার আইন করলে বাজারজাতকরণের জন্য চালকল মালিকরা চালের জন্য পাটের বস্তা ব্যবহার শুরু করে।
তবে, ভারত থেকে প্লাস্টিকের বস্তায় চাল আসতে থাকায় দেশের মিলমালিকরাও ধীরে ধীরে প্লাস্টিকের বস্তা ব্যবহার শুরু করেন।
পাটের ব্যাগ ব্যবহার করা হয় না বাকি ১৮টি পণ্যের ক্ষেত্রেও।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্যে দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি বছরে ২৪ শতাংশ কমে ৬১০ মিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
বাংলাদেশ জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিজেএমএ) মহাপরিচালক আবদুল বারিক খান বলেন, 'পাটের ব্যাগ ব্যবহারে বাধ্যবাধকতা নিয়ে আইন থাকা সত্ত্বেও এটি বাস্তবায়নে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলোর নিষ্ক্রিয়তা দেখতে পাচ্ছি।'
তিনি বলেন, 'এর ফলে দেশের পাটখাত অপূরণীয় ক্ষতির মুখে। পাটের ব্যাগের বাধ্যতামূলক ব্যবহার এই খাতের সোনালী দিন ফিরিয়ে আনতে পারে।'
তিনি আরও বলেন, 'এই আইনের পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন হলে আরও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করবে। সার্বিকভাবে ৪ কোটি থেকে ৫ কোটি মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হতে পারে। শুধু তাই নয়, এর ফলে পরিবেশ ভালো থাকবে এবং দেশ টেকসই উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাবে।'
চাল, গম, সার ও চিনিসহ প্রাথমিকভাবে সরকার ৬টি পণ্য মোড়কে পাটের বস্তা বা ব্যাগ ব্যবহারের বিষয়টি উল্লেখ করে। পরবর্তীতে এই তালিকায় আরও কয়েকটি পণ্য যোগ করা হয়।