গত কয়েকদিন ধরে ছাত্রলীগের অপকর্মের বেশকিছু শিরোনাম ছিল বিভিন্ন পত্রিকার পাতাজুড়ে। একের পর এক ঘটনার জন্ম দিয়েছে এ সংগঠনটির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আসছে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফুলপরীর ওপর চালানো নির্যাতনের ঘটনা। ছাত্রলীগের নেত্রী সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও তার সঙ্গীসাথিরা ফুলপরীকে বিবস্ত্র করে সেফটিপিন ফুটিয়েছে। শুধু তাই নয়, মোবাইল ফোনে সেই দৃশ্য ধারণ করে ভাইরাল করার হুমকিও দেওয়া হয়েছে তাকে।
এ ধরনের জঘন্য ঘটনা কেবল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়েই ঘটেনি, অন্যত্রও ঘটেছে। বলা যায়, দেশের এমন কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নেই, যেখানে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ত্রাসের শিকার হয়নি শিক্ষার্থীরা। আগে ছাত্রলীগ অন্য সংগঠনকে পিটিয়ে ক্যাম্পাসছাড়া করেছে। এজন্য বিরোধী ছাত্রসংগঠনগুলোর কোনো অস্তিত্ব এখন আর টের পাওয়া যায় না কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। এরপর তারা মারামারি শুরু করে নিজেদের মধ্যে। স্বার্থের দ্বন্দ্বে নিজেরা নিজেরা খুনোখুনি করতেও দ্বিধা করেনি। এখন এ দ্বন্দ্বের পাশাপাশি সাধারণ শিক্ষার্থীদের টার্গেট করেছে তারা। সাধারণ শিক্ষার্থীদের পকেট হাতিয়ে টাকাপয়সা কেড়ে নেওয়া থেকে শুরু করে সামান্য কারণেও অত্যাচারের খড়্গ নেমে আসে তাদের ওপর।