গরমে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যায় কমবেশি সবাই ভোগেন। এই ঋতুতে শরীরকে আর্দ্র রাখা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। অতিরিক্ত ঘাম হয়ে গরমে শরীর থেকে পানি বের হয়ে যায়। এ কারণে গরমে হাইড্রেটেড থাকা জরুরি।
দৈনিক পর্যাপ্ত পানি পান করা শরীরের তাপ কমানোর সেরা উপায়। তবে গরমে এমন অনেক খাবার আছে, যা ডিহাইড্রেশনের কারণ হতে পারে। এ কারণে বিশেষজ্ঞরা কয়েকটি খাবার আছে যা গরমে খেতে নিষেধ করেন। জেনে নিন কী কী-
অতিরিক্ত লবণ
লবণকে সোডিয়াম ক্লোরাইডও বলা হয়। এটি খাবারের স্বাদ বাড়াতে ব্যবহৃত হয়। ডায়েটে উচ্চ মাত্রার লবণের কারণে ফুলে যাওয়া, উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগ’সহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে।
যখন অত্যধিক সোডিয়াম শরীরে প্রবেশ করে, তখন কিডনি নষ্ট হয়ে যায় ও ডিহাইড্রেশন হয়। অতিরিক্ত লবণ ব্যবহারে শরীর কোষ থেকে পানি বের করে নেয়। তাই গরমে লবণ ব্যবহারে সতর্ক থাকুন।
চা ও কফি
আপনি যদি গরমে নিজেকে ঠান্ডা ও হাইড্রেটেড রাখতে চান, তাহলে চা বা কফির মতো গরম পানীয়ের ব্যবহার এড়িয়ে চলুন বা কমিয়ে দিন।
এগুলো শরীরের সামগ্রিক তাপমাত্রা বাড়ায় ও পাচনতন্ত্রকে বিরক্ত করে। এর পরিবর্তে লেবু পানি বা আম পান্না ইত্যাদি পান করতে পারেন।
মসলা
গরমে মসলাদার খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। মসলাযুক্ত খাবারে ক্যাপসাইসিন থাকে, যা পিত্ত দোষকে বিরূপভাবে প্রভাবিত করে। ফলে শরীরের তাপমাত্রা বাড়ে ও অতিরিক্ত ঘাম, ত্বকে ফোঁড়া, ডিহাইড্রেশন ও অসুস্থতা দেখা দেয়।
ভাজাপোড়া ও জাংক ফুড
ভাজাপোড়া খাবার শরীরের জন্য মোটেও ভালো নয়, এ কথা সবারই জানা। গরমে সমুসা, বার্গার, ফ্রেঞ্চ ফ্রাইসহ বিভিন্ন ধরনের জাংক ফুড খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য হতে পারে বিপজ্জনক।
এসব খাবার শরীরে পানিশূন্যতার সৃষ্টি করে। বিশেষ করে গরমে এই খাবার হজম করা কঠিন। তাই গরমে এ ধরনের খাবার এড়িয়ে চলুন।
আচার
আচার খেতে কে না ভালোবাসেন। তবে গরমে আচার না খাওয়াই ভালো। কারণে এতে সোডিয়াম বেশি থাকে, যা শরীরে পানি ধরে রাখে বেশি। এর থেকে শরীরে ফোলাভাবের সৃষ্টি হয়।
গরমে খুব বেশি আচার খেলে বদহজম হতে পারে। সোডিয়াম সমৃদ্ধ খাবার পেটে বিভিন্ন সংক্রমণ ও আলসারের কারণ হতে পারে।