কাজের ব্যস্ততায় অনেকেই ত্বকের যত্ন নেওয়ার সময় পান না। কিন্তু সারাদিনে ত্বকের যত্ন না নিতে পারলেও রাতে শোওয়ার আগে ত্বক পরিষ্কার করতেই হয়। কিন্তু অনেকেই এ কাজটা করতেও ক্লান্তি বোধ করেন। এতে ত্বকে নানাবিধ সমস্যা দেখা দেয়। তার মধ্যে কম বয়সে ত্বক বুড়িয়ে যাওয়া, ত্বকে হঠাৎই ব্রণ, র্যাশ বের হওয়া ইত্যাদি। রূপ বিশেষজ্ঞদের মতে, ক্ষতি হবে জেনেও দৈনন্দিন জীবনে অনেকে এমন কিছু ভুল করেন যা ত্বকের জন্য ক্ষতিকারক। যেমন-
মেকআপ না তুলে শুতে যাওয়া: সারা দিনে যত খুশি মুখে মেকআপ করুন না কেন রাতে শুতে যাওয়ার আগে অবশ্যই ভালো করে পরিষ্কার করা জরুরি। তা না হলে সারা রাত মুখ থেকে নিসৃত সেবাম, প্রসাধনীর সঙ্গে মিশে ত্বকের উন্মুক্ত রন্ধ্রগুলিকে আটকে দেয়। ফলে সেখান থেকে র্যাশ, ব্রণর সমস্যা হওয়া অস্বাভাবিক নয়।
ব্রণ খুঁটে ফেলা: অনেক সাবধানতার পরও মুখে দুই- একটা ব্রণ বেরিয়ে পড়ে। সব সময়ে যে প্রসাধন সামগ্রীর জন্যই এমনটা হয়, তা নয়। কোনও কোনও নারীর হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হলেও মুখে ব্রণ বেরোতে পারে। কিন্তু ব্রণ দেখলে, তা খুঁটে ফেলার ইচ্ছা করে না, এমন মানুষ খুব কমই আছেন। এই অভ্যাসেও ত্বকের ক্ষতি হয়।
সানস্ক্রিন না মাখা: বাড়ি থেকে বাইরে বেরোচ্ছেন না বলে সানস্ক্রিন মাখছেন না? সূর্যের ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাবে ত্বক অকালে বুড়িয়ে যেতে পারে। শুধু তা-ই নয়, ত্বকের ক্যানসার থেকে বাঁচতেও সানস্ক্রিন লাগানো প্রয়োজন।
অতিরিক্ত এক্সফোলিয়েট : ত্বকের হারিয়ে যাওয়া উজ্জ্বলতা ফিরে পেতে অনেকেই নিয়মিত মুখে স্ক্রাব করেন। অতিরিক্ত স্ক্রাবি করলেও ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। দেহের মৃত কোষ দূর করে ত্বককে উজ্জ্বল করে তুলতে সপ্তাহে দু'-তিন বার স্ক্রাবিং করাই যথেষ্ট।
ঘাড়, গলায় নজর না দেওয়া: ত্বকের যত্নের কথা উঠলে সবার প্রথমেই মুখের দিকে নজর যায়। কিন্তু মুখের চামড়ার সঙ্গে ঘাড়, গলার মিল না থাকলে দেখতে খারাপ লাগে। তাই গোসলের সময়ে আলাদা করে দেহের এই অংশগুলির যত্ন নিন।