কয়েক দিন পরপরই খবরের কাগজে সরকারের সুদ ব্যয়ের ওপর নানা আতঙ্কজনক খবর প্রকাশিত হয়। এসব খবর পড়ে অনেক সময় মনে হয় সরকারের সব খরচ বোধহয় সুদ পরিশোধেই। এভাবে চললে সরকার চালানো ভীষণ কষ্টকর হবে। এ ধরনের খবরে কার না চিত্ত বিচলিত হয়। সত্যিই তো সুদ ব্যয়, প্রশাসনিক ব্যয়, ভর্তুকি ইত্যাদিতেই যদি সব টাকা শেষ হয়ে যায়, তাহলে আমাদের ভবিষ্যৎ কী?
বিশেষ করে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের কপালে কী থাকবে? ইত্যাকার চিন্তাভাবনা সত্যি সত্যি বিচলিত হওয়ার মতো। এমনিতেই সুদ (ইন্টারেস্ট) বিষয়টি সমাজে সেভাবে আদৃত নয়। ধর্মীয়ভাবে তো ‘সুদ’ নিষিদ্ধই। এ কারণে দেশে ‘সুদ’ দেয় না, ‘সুদ’ শব্দ ব্যবহার করে না এমন ধরনের অনেক ব্যাংকের জন্ম হয়েছে। বস্তুত ব্যাংক খাতের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ তারাই নিয়ন্ত্রণ করে।