লেখালেখির সঙ্গে জড়িতরা নিজের তাগিদেই লিখে থাকেন এবং আলোচনা-সমালোচনার মাধ্যমেই লেখক বা কবি সমৃদ্ধ হন। ইদানীং ভার্চুয়াল সুবিধাদির সহজ ব্যবহার লেখালেখির জগৎকে কিছুটা হলেও জাগিয়ে তুলেছে, যেটা অবশ্যই একটি শুভ লক্ষণ। তবে এটাও ঠিক যে লেখালেখির কাজটি কিন্তু মোটেই অতটা সহজ নয়, যতটা সহজ আমরা ভাবি। যেমন কবিরাই আজও কবি হতে পারেননি—কথাটি যথেষ্ট গুরুত্ব বহন করে। তারপরও মন খুলে লিখতে হবে, অকপট হাতে কলম ধরে নিজের সৃষ্ট-কর্মকে জাগিয়ে তুলতে হবে।
সাহিত্যবিষয়ক ধারণা দিতে গিয়ে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন, ‘অন্তরের জিনিসকে বাহিরের, ভাবের জিনিসকে ভাষার, নিজের জিনিসকে বিশ্বমানবের ও ক্ষণকালের জিনিসকে চিরকালের করিয়া তোলাই সাহিত্যের কাজ।’ বর্তমান সময়ের ব্যস্ততা এবং ব্যক্তিজীবনের নানাবিধ সমস্যা লেখালেখির ক্ষেত্রে কখনো কখনো অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায় বৈকি; তবে এমন বিপত্তির থেকেও তো লেখা আসে এবং অমন সৃষ্টিকে আটকানো যায় না। যা-ই লিখুন না কেন, আপনাকে পড়তে হবে। সময় পেলেই হাতের কাছে যা পাবেন, তা-ই পড়বেন। আর এ বিষয়ে মানসিকতাকে শক্ত করে ধৈর্য নিয়ে পড়তে থাকুন। পড়ার অর্থ কেবল যে লেখালেখি তা তো নয়, নিজস্ব জানাশোনার পরিধিকে প্রশস্ত করাটাই প্রধান উদ্দেশ্য। সবাই ভালো লেখেন না বা লিখতে পারেন না। আবার একজন কবি বা লেখকের সব লেখাই ভালো হয় না। এ ক্ষেত্রে নিয়মিত চর্চা মানসিক উন্নতি যে ঘটাবে, তাতে তিলমাত্র সন্দেহ নেই।