ডলার–সংকট, ব্যাংকগুলো ঋণপত্র খোলা একেবারে বন্ধ করে দেওয়ায় ফল আমদানিতে নানা অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। তাতে ফলের আমদানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এ কারণে বাড়ছে ফলের দাম।
খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, সামনে রমজান মাস ব্যাংকগুলো ঋণপত্র খুলতে না দিলে বাজারে ফলের সংকট দেখা দিতে পারে। সব মিলিয়ে এ খাতের ব্যবসায়ীরা এখন আমদানি ও বিক্রি নিয়ে সংকটে পড়েছেন। আমদানি স্বাভাবিক না হলে এ সংকট আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা তাঁদের।
রাজধানীর ফল আমদানিকারকেরা বলছেন, গত বছরজুড়ে দেশে ডলারের বাজারে অস্থিরতা ছিল চরমে। এতে ফল আমদানি গুরুতরভাবে বাধাগ্রস্ত হয়। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্বব্যাপী জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ায় আমদানির ক্ষেত্রে জাহাজভাড়াসহ পরিবহন খরচও বেড়ে যায়। সব মিলিয়ে তাই আমদানি করা ফলের বাজারে এক ধরনের অস্থিরতা তৈরি হয়।
তারা আরও বলেন, ব্যাংকগুলো গত বছরের তুলনায় এখন ঋণপত্র খোলার ক্ষেত্রে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে তা বাজার চাহিদার তুলনায় কম। সরকার ফল আমদানিতে কড়াকড়ি আরোপের পর থেকে ব্যাংকগুলো ঋণপত্র খোলা একেবারে বন্ধ করে দিয়েছিল। এরপর গত বছরের মাঝামাঝি থেকে আমদানি কমতে থাকে।
এবিষয়ে ঢাকা মহানগর ফল আমদানি-রপ্তানিকারক ও আড়তদার ব্যবসায়ী বহুমুখী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল করিম শেখ বাংলানিউজকে বলেন, এক বছর আগের তুলনায় এখন ফল আমদানি কমেছে ৩০ শতাংশের বেশি। আবার আমদানি খরচ বেড়ে যাওয়ায় দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ। আবার সব ধরনের জিনিসের দাম বেড়ে যাওয়ায় মূল্যস্ফীতিও বাড়তি। তাই খরচে লাগাম টেনেছে সাধারণ মানুষ। এ কারণে বিক্রিও কমে গেছে।
তিনি বলেন, আমদানিতে ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় বিনিয়োগ বেশি করতে হচ্ছে। তাতে পরিচালন খরচ বেড়েছে। ব্যাংক থেকে বাড়তি ঋণ নিয়ে ব্যবসা করতে হচ্ছে। এজন্য আগের চেয়ে বেশি সুদ গুনতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে টিকে থাকার লড়াইয়ে আছেন আমদানি করা ফলের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীরা।