নিত্যপণ্য ও সেবার মূল্য উল্লম্ফনে জনগণ দিশেহারা

যুগান্তর মো. আবদুল লতিফ মন্ডল প্রকাশিত: ০১ মার্চ ২০২৩, ১২:১৭

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি যুগান্তরের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক বছরের ব্যবধানে নিত্যপণ্য ও সেবার দাম লাগামহীনভাবে বেড়েছে। গত এক বছরে নিত্যপণ্য ও সেবার মূল্য কী পরিমাণে বেড়েছে তার একটি তুলনামূলক বিবরণ প্রতিবেদনে রয়েছে।


এতে দেখা যায়, গত এক বছরে প্রোটিন ও শর্করাজাতীয় খাদ্যের দাম বেড়েছে যথাক্রমে ২০.৫৫ ও ৩৫.৫১ শতাংশ হারে। ৩৬.০৫ ও ১৮.৫০ শতাংশ হারে বেড়েছে যথাক্রমে শিশুখাদ্য ও ভোজ্যতেলের দাম। অন্যদিকে সেবা খাতে বিদ্যুৎ, গ্যাস, গণপরিবহণ ও চিকিৎসায় ব্যয় বেড়েছে যথাক্রমে ১০, ১০০, ১০০ ও ২০ শতাংশ হারে। বিবরণী থেকে আরও জানা যায়, গত এক বছরে যখন মজুরি বেড়েছে ৭ শতাংশ, তখন জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে ৮.৫৭ শতাংশ। প্রশ্ন হচ্ছে, আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হলে সংসার চলবে কীভাবে?


দেশে জীবনধারণের জন্য প্রয়োজনীয় নিত্যপণ্যগুলোর মধ্যে প্রধান হচ্ছে ভাত। চাল থেকে রূপান্তরিত ভাত দেশের ৮০ শতাংশের বেশি মানুষের প্রধান খাদ্য, যা আমাদের ক্যালরির প্রধান উৎস। যুগান্তরের উপর্যুক্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত এক বছরে দেশের অধিকাংশ মানুষের প্রধান খাদ্য মোটা চালের দাম বেড়েছে ১৭.৯৫ শতাংশ। সরু চাল নাজির শাইলের দাম ২০.২৯ শতাংশ বেড়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবে জাতীয় পর্যায়ে একটি পরিবারের মাসিক মোট ব্যয়ের ৫৪.৮১ শতাংশ খরচ হয় খাদ্যে। আবার মাসিক মোট খরচের ৩৫.৯৬ শতাংশ ব্যয় হয় চাল কেনায়। চালের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধিতে মানুষ, বিশেষ করে দরিদ্র ও অতিদরিদ্ররা চরম দুর্ভোগে পড়েছে। চালের দামে উল্লম্ফনে নিম্নমধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্তরাও বিপদে পড়েছে। চালের অতি উচ্চমূল্যের কারণে এসব পরিবারকে আমিষজাতীয় খাবার কেনা কমিয়ে দিতে হচ্ছে। এতে নিম্নবিত্ত পরিবারগুলোর মতো নিম্নমধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারেও, বিশেষ করে শিশু ও নারীদের মধ্যে পুষ্টি সমস্যা দেখা দিয়েছে।


গত এক বছরে আমাদের দ্বিতীয় খাদ্য গমের আটার দাম বেড়েছে ৬৪.২৯ শতাংশ। বিবিএসের সর্বশেষ হাউজহোল্ড ইনকাম অ্যান্ড এক্সপেন্ডিউচার সার্ভে (হায়েস)-২০১৬ অনুযায়ী, দেশে জাতীয় পর্যায়ে মাথাপিছু দৈনিক গমের ব্যবহার ১৯.৮ গ্রাম। ২০০৫ সালের হায়েসে জাতীয় পর্যায়ে মাথা পিছু দৈনিক খাদ্য হিসাবে গমের ব্যবহার ছিল ১২.১ গ্রাম। জনসংখ্যা বৃদ্ধি, খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন ও স্বাস্থ্য সচেতনতা, মোটা চালের তুলনায় আটার কম দাম, গমের আটা-ময়দা থেকে তৈরি বিস্কুট, কেক ইত্যাদির বিদেশে রপ্তানি-এসব কারণে গমের ব্যবহার বাড়তে থাকে।


গমের চাহিদার ৯০ শতাংশ পূরণ হয় আমদানির মাধ্যমে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের অনিশ্চয়তা, সম্প্রতি শস্য রপ্তানিতে রাশিয়ার বিধিনিষেধ আরোপ, ভারতের গম রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বৃদ্ধি, পরিবহণ ব্যয় উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি ইত্যাদি কারণে পণ্যটির আমদানি যে আরও ব্যয়বহুল হয়ে উঠবে, তা অনেকটা জোর দিয়ে বলা যায়। এতে দেশের বাজারে আটার দাম আরও বেড়ে যাবে। উচ্চহারে খাদ্যশস্যের মূল্যবৃদ্ধি ছাড়াও উচ্চহারে বেড়েছে প্রোটিনজাতীয় খাদ্যের। মাছ, মাংস, ডিম, ডালসহ প্রোটিনের জোগান আসে এমন খাদ্যের দাম গত এক বছরে বেড়েছে ২০.৫৫ শতাংশ।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us