বাড়ির আশপাশে, ঝোপে-জঙ্গলে, অযত্নে বেড়ে ওঠা মিষ্টি একটি ফল ডুমুর। অযত্নে বেড়ে ওঠা এ ফলের ঔষধি গুণাগুণ অবাক করার মতো।
এ ফলটিতে রয়েছে জিঙ্ক, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রনের মতো যৌগ। শিশুদের তো বটেই, বয়স্ক এবং অন্তঃসত্ত্বা নারীদের রক্তে আয়রনের অভাব পূরণের জন্য ডুমুর উপাদেয় খাবার। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পুষ্টিবিদরা অনেক সময় সকালে খালি পেটে ডুমুর ভেজানো পানি পানের পরামর্শ দেন।
১) রক্তে শর্করার ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে
বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে ডুমুর রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম। এছাড়াও এ ফলে রয়েছে উচ্চ মাত্রায় ফাইবার যা অন্ত্রের স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু পুষ্টিবিদদের মতে, শুকনো ডুমুরের মিষ্টত্ব অনেক বেশি, তাই রক্তে শর্করা থাকলে তা বুঝে খাওয়া উচিত।
২) হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে
অ্যান্টি অক্সিড্যান্টে ভরপুর ডুমুর কিন্তু হার্টের স্বাস্থ্যও ভালো রাখে। ডুমুরের মধ্যে থাকা না কি ‘পেকটিন’ রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমিয়ে আনতে সক্ষম। অন্তত গবেষণায় তেমনটাই বলছে। এছাড়াও ডুমুরে রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণ পটাশিয়াম, যা রক্তে সোডিয়ামের ভারসাম্য বজায় রাখে। ফলে উচ্চ রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৩) হজমশক্তি বাড়ায়
ডুমুরে রয়েছে উচ্চমাত্রায় ফাইবার, যা পেটের যাবতীয় সমস্যা দূর করে হজমশক্তি উন্নত করে। ‘প্রিবায়োটিক’ গোত্রের এই ফলটি অন্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি করে।