মানবদেহে সামগ্রিক সুস্থতার জন্য হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নানা কারণে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। যেমন-মানসিক চাপ, খারাপ খাদ্যাভ্যাস,অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন এবং দূষিত পরিবেশ ইত্যাদি।
শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় কয়েকটি খাবার যোগ করতে পারেন। এসব খাবার শরীরে সুষম অনুপাতে হরমোন তৈরি করে। যেমন-
ব্রকলি : ক্রুসিফেরাস জাতীয় এই সবজিতে সালফোরাফেন নামক এক ধরনের যৌগ থাকে। সালফোরাফেনে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য যা শরীরে প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও ব্রকলিতে থাকা ইনডোল- থ্রি নামক কারবিনল যৌগ ইস্ট্রোজেনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। শরীরে ইস্ট্রোজেনের ভারসাম্যহীনতা থাকলে নারীদের নানা ধরনের সমস্যা যেমন-ওজন বৃদ্ধি, ঘন ঘন মুড পরিবর্তন এবং স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে।
অ্যাভোকাডো: অ্যাভোকাডো এমন একটি সুপারফুড যা স্বাস্থ্যকর চর্বি, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ। এতে বিটা-সিটোস্টেরল নামে একটি উদ্ভিদ স্টেরল রয়েছে যা কর্টিসলের ভারসাম্য রাখতে সাহায্য করে। কর্টিসল এমন একটি হরমোন যা স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণ করে। উচ্চ পরিমাণে কর্টিসল ওজন বাড়ায়। এছাড়া বিষন্নতাসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
হলুদ: হলুদ এমন একটি মসলা যা আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার চিকিৎসায় ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। এতে থাকা কারকিউমিন উপাদান প্রদাহরোধী এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্টে পূর্ণ। কারকিউমিন শরীরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস প্রতিরোধ করে। হলুদ শরীরে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে।
ফ্ল্যাক্সসিড : ফ্ল্যাক্সসিডে থাকা নানা উপাদান শরীরে ইস্ট্রোজেনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।