দেশি-বিদেশি সমালোচনার মুখে ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে পরিবেশবান্ধব কারখানা নির্মাণে আগ্রহী হয়ে ওঠেন বাংলাদেশের কারখানা মালিকেরা। রানা প্লাজা বিপর্যয়ের পর ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে থাকা তৈরি পোশাক খাত এখন শিল্পকারখানায় গো-গ্রিনে নেতৃত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ।
বিশ্বে তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চসংখ্যক পরিবেশবান্ধব কারখানার মুকুট এখন বাংলাদেশের। তৈরি পোশাকশিল্পসহ অন্যান্য খাতে এখনো যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) থেকে লিডারশিপ ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন (এলইইডি) সার্টিফিকেশন পেয়েছে বাংলাদেশের ১৮৮টি কারখানা। লিড সনদে সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া ১০টি তৈরি পোশাক কারখানার মধ্যে বাংলাদেশেই আছে ৮টি।
এ বিষয়ে বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত ব্যাপক সমালোচনার মধ্যে পড়ে। তখন ব্যবসা টিকিয়ে রাখা অসম্ভব হয়ে পড়ে। তখন আমরা দেশের অর্থনীতি ও পোশাক কারখানায় শ্রমিকের কর্মপরিবেশ নিরাপদ রাখার জন্য বিনিয়োগ করা শুরু করি। বাংলাদেশ এখন বিশ্বে সবুজ কারখানা প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দিচ্ছে।’
বিজিএমইএ জানিয়েছে, বিশ্বের শীর্ষ ১০০টি গ্রিন ফ্যাক্টরির মধ্যে বাংলাদেশেই আছে ৫০টি। চলতি বছরে এই পর্যন্ত পাঁচটি কারখানা ইউনিট এলইইডি সার্টিফিকেশন পেয়েছে। নরসিংদীর পাঁচদোনায় অবস্থিত আমানত শাহ ফেব্রিকসে বছরের প্রথম এলইইডি সার্টিফিকেট পাওয়া কারখানা।