হালের গবেষণা বলছে, মনের অবসাদ বাড়িয়ে তোলার নেপথ্যে রয়েছে শরীরের কোনও আঘাত থেকে প্রাপ্ত ব্যথা বা প্রদাহ। মনের অবসাদ কাটানোর নির্দিষ্ট কোনও ওষুধ নেই। তাই অবসাদগ্রস্ত রোগীদের চিকিৎসায় এই গবেষণার ফলাফল এক যুগান্তকারী পরিবর্তন আনতে পারে বলেই মনে করছেন গবেষকরা।
কোনও চোট বা আঘাত থেকে শরীরে ব্যথা বা প্রদাহ হওয়া স্বাভাবিক বিষয়। আঘাত লাগার পর মস্তিষ্ক দেহের প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে সঙ্কেত পাঠায় সেই আঘাত সারিয়ে তোলার জন্য। কিন্তু সেই চোট সারাতে প্রয়োজনের অতিরিক্ত কোষ এসে জমা হলে সেখান থেকে শুরু হয় প্রদাহ। এই প্রদাহই কিন্তু অ্যালঝাইমার্স-সহ নানা রকম রোগের উৎস বলেই মনে করেন চিকিৎসকদের একাংশ।
তাঁদের মতে, ক্রমাগত মস্তিষ্কে আসতে থাকা স্নায়বিক উদ্দীপনা, চিকিৎসা পরিভাষায় যার নাম ‘নিউরোইনফ্লামেশন’, থেকেই মস্তিষ্কের স্নায়ুর সার্কিটে পরিবর্তন ঘটে। গবেষণায় বলা হয়েছে, অবসাদগ্রস্ত ৩০ শতাংশ রোগীর মধ্যেই এই ধরনের প্রদাহ লক্ষ করা গিয়েছে।
যদিও অবসাদগ্রস্ত হওয়ার কারণ এক এক জনের ক্ষেত্রে এক এক রকম। ‘ইমরি ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ মেডিসিন’-এ মনোবিজ্ঞান এবং ব্যবহারিক বিজ্ঞানের শিক্ষক অ্যান্ড্রু মিলার বলেন, “এই অবসাদ কিন্তু সকলের ক্ষেত্রে জিনগত নয়। অবসাদগ্রস্ত ব্যক্তি ঠিক কোন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন, তার উপর নির্ভর করে অবসাদের কারণ।”