শিশুর বয়সের সঙ্গে সঙ্গে ভাষার বিকাশ হতে থাকে, যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বয়স অনুযায়ী ভাষার বিকাশ ঠিকমতো না হলে অবশ্যই শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।জানতে হবে শিশুটি পিছিয়ে পড়ছে কি না বা তার মধ্যে ভাষার বিকাশের কোন সীমাবদ্ধতা পরিলক্ষিত হচ্ছে কি না।
শিশুরা সাধারণত তিন বছর বয়সেই কথা বলতে শিখে যায়। সাধারণত এক বছর বয়সে শোনা যায় শিশুর প্রথম কথা। দুই বছরে একসঙ্গে দু’তিনটি শব্দ বলতে পারে ও ধাপে ধাপে আড়াই বছর বয়সে ছোট ছোট বাক্য বলা শুরু করে।
গবেষকদের মতে, শিশুর ভাষা বোঝার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায় মায়ের পেট থেকে বা গর্ভাবস্থায়। ঠিক যেভাবে মায়ের হার্টবিটের সঙ্গে শিশুটি পরিচিত হয়, একই ভাবে তার গলার স্বরও বুঝতে পারে ও অন্যদের থেকে আলাদা করতে সক্ষম হয়।
শিশুর জন্মের কিছুদিনের মধ্যেই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সে যোগাযোগ করতে শেখে, এক্ষেত্রে কান্না তার ভাষা। দুগ্ধ পান করার সময়ও শিশুর সঙ্গে তার মায়ের ভাষার একটি যোগাযোগ স্থাপিত হয়। বিভিন্ন ধরনের শব্দ দ্বারা তা চলতে থাকে প্রথম আট সপ্তাহ বা দুই মাস পর্যন্ত।
দুই মাস পরে তার শব্দ বা ধ্বনিতে কিছু পরিবর্তন আসে। যেখানে স্বরধ্বনি ও ব্যঞ্জনধ্বনির মিশ্রণ থাকে, যার দ্বারা অর্থ উদ্ধার করা অনেক সময় কঠিন হয়ে যায় যেমন কা, কে, কু।
চার মাস বয়সে শিশু হাসতে পারে। স্বরধ্বনি ও ব্যঞ্জনধ্বনির উচ্চারণের হারও বাড়তে থাকে। যখন তার বয়স ৫-৬ মাস হয়, তখন তার কথা বলার ক্ষেত্রেও অগ্রগতি আসে। এ সময় অনেক কিছুই যেমন মা, বা, গা, দা এগুলো বলতে পারে শিশু।