ছাত্রলীগের 'স্মার্ট ক্যাম্পাস' মডেল আলোর মুখ দেখবে?

সমকাল মিজান শাজাহান প্রকাশিত: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০১:৩৫

ডিজিটাল বাংলাদেশের পর এবার 'স্মার্ট বাংলাদেশ' করার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরই ধারাবাহিকতায় গত রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানবীর হাসান সৈকত স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে 'স্মার্ট ক্যাম্পাস' গড়তে নেতাকর্মীকে ১০ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- সাংগঠনিক কর্মসূচি ও নির্দেশনার বাইরে ব্যক্তিগত ও দলবদ্ধভাবে যে কোনো কর্মকাণ্ডে জড়িত হওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে; বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও আবাসিক হলগুলোতে শতভাগ শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে উদ্যোগী হতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় পরিমণ্ডলে ক্রিয়াশীল অপরাপর প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠন, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন প্রভৃতির সঙ্গে সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক ও সদ্ভাব বজায় রাখতে হবে; সংবাদমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকদের দায়িত্ব পালনে সর্বাবস্থায় সহযোগিতা করতে হবে।


বাংলাদেশ ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ বরাবরই দেশের সব ক্যাম্পাসে শৃঙ্খলার সঙ্গে সংগঠন পরিচালনার নীতিতে বিশ্বাসী বলে দাবি করে থাকেন; যদিও বাস্তবতা তা বলে না। তারপরও ঢাবি ছাত্রলীগ পুরোনো নীতিবাক্য দফাওয়ারি জারি করে নেতাকর্মীকে সজাগ করে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ পেতে পারে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এসব নির্দেশনার বাস্তবায়ন কতটুকু হবে? কারণ ঢাবি এলাকায় চলতি মাসে দুটি চাঁদাবাজির ঘটনায় ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখা নেতাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। দুই ঘটনায় পাঁচ শিক্ষার্থীকে বহিস্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও ছাত্রলীগ। বইমেলায় চাঁদা আদায় করতে গিয়ে কারাগারে রয়েছেন ছাত্রলীগের দুই নেতা। নীতি-নৈতিকতাবোধ কতটা কলুষিত হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী গাড়ি ছিনতাই করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হতে পারেন! ব্যক্তির অপরাধে সংগঠনের বদনাম হয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হওয়ার পাশাপাশি ওই সন্তানের জন্য পরিবারও বিব্রত হয়।


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একসময় অস্ত্রের মহড়া চলত। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তৎকালীন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ছাত্রনেতাদের ধারাবাহিক প্রচেষ্টায় তা বন্ধ হয়েছিল। সে সময় ডাকসু সচল না থাকলেও ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল সব ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধি সমন্বয়ে পরিবেশ পরিষদ নামে একটা ফোরাম সক্রিয় ছিল। কিন্তু এখন সেই পরিবেশ পরিষদ নেই; ক্যাম্পাসে ছাত্র সংগঠনগুলোর সহাবস্থানও নেই। ঢাবি ক্যাম্পাসে এখন দেশি-বিদেশি অস্ত্রের মহড়া দেখা না গেলেও মাঝেমধ্যে ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটার মহড়া দেখা যায়। ঢাবি ছাত্রলীগের ১০ দফার মধ্যে অপরাপর ক্রিয়াশীল প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার কথা বলা হয়েছে। আমরাও চাই গণতন্ত্রে বিশ্বাসী ছাত্র সংগঠনগুলো ঢাবিসহ দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে তৎপর থাকুক। তাদের সেই সহাবস্থান নিশ্চিতে প্রধান ভূমিকা ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগকেই নিতে হবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us