চট্টগ্রাম বিএসটিআইর (বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন) আঞ্চলিক কার্যালয়ের নির্মাণকাজ ছয় বছরেও শেষ হয়নি। অথচ একই ধরনের প্রকল্প খুলনায় সম্পন্ন হয়েছে দুই বছর আগে। ঢাকার আলোচিত জি কে শামীমের কারণেই চট্টগ্রামের প্রকল্পের এ অবস্থা বলছেন সংশ্লিষ্টরা। এখানে পূর্ণাঙ্গ ল্যাব সুবিধাসম্পন্ন আঞ্চলিক কার্যালয় না থাকায় আমদানি করা ৭৯ ধরনের পণ্যের অধিকাংশ পরীক্ষার জন্য ছুটতে হয় ঢাকায়। ঢাকায় গিয়ে পরীক্ষায় ভোগান্তির পাশাপাশি পণ্য খালাসে দীর্ঘসূত্রতার কবলে পড়তে হয়। এতে আমদানিকারকেরা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েন।
তথ্যমতে, চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি করা পণ্যের অধিকাংশ ঢাকা থেকে বিএসটিআইর ল্যাব টেস্টের প্রতিবেদনের অপেক্ষায় থাকতে হয়। এরপর পণ্যের শুল্কায়ন সম্পন্ন করে খালাস করা হয়।
বিএসটিআই থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬-১৭ সালে বন্দর থেকে দ্রুত পণ্য ছাড় করার কথা মাথায় রেখে সরকার চট্টগ্রাম ও খুলনায় বিএসটিআইর পূর্ণাঙ্গ ল্যাবসহ ১০তলা ভবন নির্মাণে পৃথক প্রকল্প নেয়। খুলনার প্রকল্পটি শেষ হয় দুই বছর আগে। এখন পুরোদমে কাজ চলছে সেখানে। কিন্তু চট্টগ্রাম বিএসটিআইর ভবন নির্মাণ প্রকল্পটি ছয় বছর পার করেছে। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে তিনতলা ছাদ ঢালাই করার পর আর এগোয়নি। এতে সার্বিকভাবে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
এ প্রসঙ্গে বিএসটিআই চট্টগ্রামের পরিচালক মো. নুরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, আগে ৫৫ ধরনের আমদানি পণ্যের মান পরীক্ষার জন্য ব্যবসায়ীদের এখানে আসতে হতো। এখন ৭৯ ধরনের পণ্যের মান পরীক্ষার জন্য এখানে আসতে হয়। তবে ল্যাব সমস্যার কারণে বেশ কিছু পণ্য মান পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠাতে হয়। এতে সময় ও অর্থ দুটোই নষ্ট হয়। ভোগান্তিতে পড়েন ব্যবসায়ীরা।
নুরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘বিএসটিআই ভবনটির নির্মাণকাজ শেষ না হওয়ায় ল্যাবের কাজ চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে।’