আমাদের দেশে প্রতিনিয়ত ঘটেই চলেছে নানা রকম মারাত্মক দুর্ঘটনা। এর মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনা অন্যতম। এতে আক্রান্ত হয়ে প্রতিবছর মারা যাচ্ছেন অসংখ্য মানুষ। হারাচ্ছেন শরীরের নানা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ। এর মধ্যে কেউ হাত, কেউ পা, আবার কেউবা মেরুদণ্ডে আঘাত পেয়ে হারাচ্ছেন হাঁটাচলার ক্ষমতা। অর্থাৎ পঙ্গুত্ব বরণ করছেন। কেউ যদি মেরুদণ্ডে আঘাত পেয়ে থাকেন, তা হলে তাকে সোজা করে শুইয়ে দিতে হবে এবং রোগীকে দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। পাশাপাশি রোগীর আঘাতের পরিমাণ নির্ণয় করার জন্য প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়ে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করে দিতে হবে।
মেরুদণ্ডে আঘাত পেলে যা হয় : মেরুদণ্ডের কোন জায়গায় কতটা তীব্র আঘাত লেগেছে, তা নির্ভর করে উপসর্গের তীব্রতার ওপর। এছাড়া রোগীর বয়স, অন্য কোনো রোগ ইত্যাদিও এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে ওঠে। সামান্য আঘাতে কিছু ব্যথা ছাড়া আর কিছু না-ও থাকতে পারে। কিন্তু মেরুদণ্ডের ভেতরে যে স্পাইনাল কর্ড বা মেরুরজ্জু আছে, তাতে আঘাত লাগলে হাত ও পা অনুভূতিহীন হয়ে পড়তে পারে। যদি আঘাত মেরুদণ্ডের সারভাইক্যাল স্পাইনের ওপরের দিকের সি২-৩ অথবা সি৩-৪ লেভেলে কম্প্র্রেশন ইনজুরি হয়, সেক্ষেত্রে কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যবস্থা করার প্রয়োজন হতে পারে। কারণ এই জায়গা থেকে আমাদের রেসপিরেটরি মাংসপেশিগুলোর নার্ভ সাপ্লাই হয়ে থাকে। ফলে রোগীকে খুব দ্রুত সাবধানতার সঙ্গে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সারভাইক্যাল স্পাইন বা ঘাড়ের জন্য প্যারাফেজিয়া কিংবা বা চার হাত-পা অবশ্য হয়ে যেতে পারে এবং লাম্বার স্পাইন বা কোমরের জন্য দুটোই অবশ হয়ে যেতে পারে। এসব ক্ষেত্রে রোগী প্রস্রাব ও পায়খানার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলতে পারে।