ব্রণ একটি সাধারণ কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি ত্বকের রোগ। তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণ বেশি হয়। বয়স, লিঙ্গ, আবহাওয়া, খাদ্যাভ্যাস, লাইফস্টাইল, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ইত্যাদি এই ব্রণ তৈরির পেছনের কারণ। একে ইংরেজিতে বলে অ্যাকনে বা পিম্পল, বাংলায় বলা হয় ব্রণ। ত্বকের খুব সাধারণ এই সমস্যার প্রভাব দৈনন্দিন জীবনে অনেক। ব্রণের সমস্যায় চিন্তিত হওয়ার তেমন কোনো কারণ নেই। তবে বেশি হলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।
যারা ভুক্তভোগী
বয়ঃসন্ধিকালে এই সমস্যা বেশি হয়। বিশেষ করে ১৩ থেকে ১৯ বছর বয়স পর্যন্ত। তবে শুধু এ সময়েই নয়, বরং যেকোনো বয়সেই ত্বকে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। কখনো কখনো ৩০ বছর বয়সেও এটি দেখা দিতে পারে এবং অনেক বয়স পর্যন্ত স্থায়ীও হতে পারে।
কারণ
হরমোন ক্ষরণের তারতম্য বা অভাব, জীবাণুর সংক্রমণ, ত্বকের অযত্ন, অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা, তৈলাক্ত ও অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, ঘুম না হওয়া, অতিরিক্ত ঘাম হওয়া ইত্যাদি। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও সুনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন করলে ব্রণ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
করণীয়
* সারা দিনে ৮ গ্লাস পানি পান করতে হবে। দেহে পানির অভাব যেন না হয় সে দিকে লক্ষ রাখতে হবে।
* ব্রণ হলেই সাবান ঘষা, স্ক্রাব করা, এক্সফোলিয়েট করা যাবে না? এতে বরং উল্টো ব্রণ আরো বেড়ে যেতে বা প্রদাহ দেখা দিতে পারে? ব্রণে হাত দেবেন না, খুঁটবেন না।
* ফাস্ট ফুড, ডিপফ্রাই করা খাবার, কোমল পানীয় বাদ দিয়ে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে নিয়মিত। ফলমূল ও আঁশজাতীয় খাবার রাখতে হবে খাদ্যতালিকায়। ত্বক ভালো রাখতে জিংক, সেলিনিয়াম ও বায়োটিনসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
* আপনার ত্বকের জন্য কোন ধরনের ক্রিম বা ফেসওয়াশ উপযুক্ত সেটি জেনে নিন।
* রাতে ঠিকমতো ঘুমানোর চেষ্টা করুন। দুশ্চিন্তামুক্ত থাকুন বা মানসিক চাপ পরিহার করুন।
* ফলমূল, শাক-সবজি বেশি খান এবং কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে তা দূর করুন।