সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল, দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে প্রথম বর্ষের ছাত্রী ফুলপরীকে নির্যাতনের অভিযোগ সত্য কি না? এর জবাবে অভিযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরী ওরফে অন্তরা সাংবাদিকদের বলেন, ‘নো কমেন্ট’। আরেক নেতা তাবাসসুম বললেন, ‘যা বলার তদন্ত কমিটির কাছে বলেছি, এর বাইরে কিছু বলতে চাই না।’
নির্যাতনে অভিযুক্ত ওই দুই নেত্রী আজ সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটির কার্যালয়ে পৃথকভাবে বক্তব্য দিয়ে বের হয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। এর আগে সকাল সাড়ে নয়টার দিকে সানজিদা ও তাবাসসুম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের করা তদন্ত কমিটির ডাকে কমিটির আহ্বায়ক আইন বিভাগের অধ্যাপক রেবা মণ্ডলের কার্যালয়ে যান। সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্যসচিব একাডেমিক শাখার উপরেজিস্ট্রার আলীবদ্দীন খান, কমিটির সদস্য প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক দেবাশীষ শর্মা ও সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক মুর্শিদ আলম।
সূত্র জানায়, সকাল ১০টায় অভিযুক্তদের ক্যাম্পাসে আসার কথা ছিল। তবে সকাল ৯টায় ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন অভিযুক্তরা। পরে সকাল সাড়ে ৯টায় তাঁদের মীর মশাররফ হোসেন একাডেমিক ভবনে তদন্ত কমিটির আহ্বায়কের কক্ষে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেওয়া হয়। প্রথমে সানজিদাকে সকাল সাড়ে নয়টায় কক্ষে ডাকা হয়। এরপর বেলা সাড়ে ১১টায় বেরিয়ে পাশের রুমে বসে থাকেন। তিনি বের হওয়ার পর তাবাসসুম দুপুর পৌনে ১২টার দিকে রেবা মণ্ডলের কক্ষে প্রবেশ করেন। তিনি দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে বের হন। এরপরই আবার ওই কক্ষে সানজিদা প্রবেশ করেন এবং বেলা ১টা ২০ মিনিটে বের হন। আবার তাবাসসুমও বেলা ১টা ২৫ মিনিটে প্রবেশ করে ২টায় বের হন।
এ সময় গণমাধ্যমকর্মীরা সানজিদার কাছে বিভিন্ন প্রশ্ন করে জানতে চান। প্রথমে তিনি কথা বলতে চাননি। একপর্যায়ে সানজিদা বলেন, ‘তদন্ত কমিটির সঙ্গে প্রথমে একবার কথা হয়েছে। এরপর চার পৃষ্ঠার লিখিত দেওয়া হয়েছে। ঘটনা সম্পর্কে তদন্ত কমিটি জানতে চেয়েছে। তদন্ত হচ্ছে, তদন্তের মাধ্যমেই সবকিছু জানতে পারবেন।’
বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, শিক্ষার্থীদের অভিযোগ আপনি হলে ভয়ার্ত পরিবেশ সৃষ্টি করেছেন। জবাবে সানজিদা বলেন, ‘তদন্ত করলেই সবকিছু জানতে পারবেন। প্রতিবেদন যা আসবে সত্যিটাই তো আসবে।’