প্রথম যখন ১৬ কিংবা ১৭ বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'শেষের কবিতা' পড়েছিলাম, তখন মনে হয়েছিল অমিত রায় আর লাবণ্যের মতো এমন রোমান্টিক ও প্রগলভ জুটি আর হয় না। মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম অমিত রায়ের কবিতা, ছন্দ আর প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব দেখে। মনে হয়েছিল এটাই প্রকৃত প্রেম। অমিত-লাবণ্যের প্রেম যেন ধরা দিয়েও ধরা দেয়নি। কবিগুরুর ভাষায় 'অনেক কথা যাও যে বলি কোন কথা না বলি'। আরও একটু বয়স বাড়ার পর উপলব্ধি হলো, অমিত রায় সত্যিকার অর্থে কোনো প্রেমিক নয়।
এর আগে শরৎচন্দ্রের 'দেবদাস' পড়ে দেবদাস আর পার্বতী ২ জনের জন্য দারুণ মন খারাপ হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে এসে মৈত্রেয়ী দেবীর 'ন হন্যতে' পড়ে যখন আমরা বুদ হয়ে ছিলাম এরকম একটা প্রেমময় অনুভূতি নিয়ে। ঠিক সেই সময়েই মির্চা এলিয়েদের 'লা নুই বেঙ্গলী' এসে কেমন যেন সব এলোমেলো করে দিলো। কার ভালোবাসার প্রকাশ ঠিক, এ নিয়ে বন্ধুদের মধ্যে তর্কবিতর্ক হলো।