দেশে অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিচারহীনতার অপসংস্কৃতি, গুরুতর অপরাধে লঘু শাস্তি, যৎসামান্য অর্থ জরিমানায় দণ্ড লাঘব, অনৈতিক লেনদেনের মাধ্যমে অপরাধীদের আড়াল করার কদর্য আচরণ পুরো সমাজকেই পর্যুদস্ত করে চলছে।
শিক্ষা-উচ্চশিক্ষা থেকে শুরু করে প্রায় সব সরকারি-বেসরকারি সংস্থা-প্রতিষ্ঠানে ঘুস-দুর্নীতি-অনিয়ম-অপকর্ম এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, জনগণ অতিশয় বিপর্যস্ত। বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে অদম্য গতিতে এগিয়ে চলা বাংলাদেশে ভৌত অবকাঠামো, ডিজিটালাইজেশন, সড়ক-জনপথ-সেতু, মানুষের জীবনমান উন্নয়নে গৌরবোজ্জ্বল অর্জন কতিপয় দুষ্টচক্রের কারসাজিতে ম্লান হতে পারে না।
মুক্তির মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানি হায়েনা কর্তৃক সম্পূর্ণ ধ্বংসপ্রাপ্ত স্বাধীন মাতৃভূমি পুনরুদ্ধারে সততা-নিষ্ঠা-প্রজ্ঞা ও দেশপ্রেমের অনুপ্রেরণায় দেশবাসীকে উদ্দীপ্ত করেছিলেন। দুর্নীতি-কালোবাজারি-মুনাফাখোরি সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সামরিক-বেসামরিক আমলাসহ দেশের জনগণকে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন। বর্তমানে অর্থলিপ্সু ঘৃণ্য এসব সিন্ডিকেট নানা অপকৌশলে নিত্যপণ্যের দাম শুধু অসহনীয় পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে না, দেশে অরাজক-অস্থিতিশীল পরিস্থিতিও সৃষ্টি করছে। এদের কঠোর আইনের আওতায় এনে বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া না হলে আগামী পবিত্র রমজান মাসকে কেন্দ্র করে বাজার পরিস্থিতি আরও অস্বস্তিকর হয়ে উঠবে।