রাজধানী ঢাকাসহ শহরাঞ্চলে পাইপে সরবরাহ করা গ্যাসের সংকট এখন রাঁধুনীদের কাছে নিত্য এক যন্ত্রণা; বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা এলপি গ্যাসের দামও চড়তে থাকার প্রেক্ষাপটে রান্নার কাজে নির্ভরতা বাড়ছে বৈদ্যুতিক চুলার।
নিভু নিভু গ্যাস কিংবা রাত-দিনের বড় অংশজুড়ে পাইপলাইনে গ্যাস না থাকার বিষয়টি দিনের পর দিন বাড়তে থাকায় স্থায়ী সমাধান হিসেবে অনেক পরিবারই এখন বেছে নিচ্ছেন বিদ্যুৎচালিত ইনডাকশন বা ইনফ্রারেড চুলা।
শৌখিনতার পর্ব পেরিয়ে একটু একটু করে নগরীর রাঁধুনিরা রান্নার কাজে এমন বৈদ্যুতিক চুলার উপর নির্ভর করতে শুরু করেছেন। এর সঙ্গে খরচ সাশ্রয়ের বিষয়টি যুক্ত হওয়ায় নিরাপদ ও ঝামেলামুক্ত বলে ঢাকার রান্নাঘরগুলোতে আধুনিক প্রযুক্তির বৈদ্যুতিক চুলার চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। সাম্প্রতিক সময়ে বিক্রিও বেড়েছে এমন চুলার বলে জানাচ্ছেন দোকানিরা।
চলমান গ্যাস সংকট আর এলপিজির উচ্চ দামের কারণে আসন্ন রোজার প্রস্তুতি হিসেবে ইনডাকশন বা ইনফারেডের মত বিশেষ বৈদ্যুতিক চুলা কেনার হিড়িক পড়েছে বলে জানান তারা।
এছাড়া কোনো এলাকায় বেশ কয়েকদিনের জন্য গ্যাস সরবরাহে যখন ঘাটতি দেখা যায় তখন মানুষজন বৈদ্যুতিক এ চুলার খোঁজে আসছেন দোকানে।
দেশের বাজারে ওয়ালটন, ভিশন, কিয়ামসহ আরও কয়েকটি দেশি ব্র্যান্ডের তৈরি বৈদ্যুতিক চুলা রয়েছে। পাশাপাশি এলজি, নোভেনা, রিকো, মিয়াকো, নিয়ামা, প্রেসটিজসহ বিভিন্ন বিদেশি ব্র্যান্ডের চুলা পাওয়া যাচ্ছে।