ঋতুরাজ বসন্তের আগমনে প্রাণ ফিরেছে প্রকৃতিতে। বাজছে শীতের বিদায়ী ধ্বনি। ফাল্গুনের হিমেল হাওয়ায় আমের মুকুলের ঘ্রাণে মৌ মৌ চারপাশ। গাছে গাছে কচি পাতা আর ফুলের সমারোহ। আনমনে ডাকছে কোকিল। বার্তা দিচ্ছে, বসন্ত এসে গেছে। প্রকৃতির এই হাওয়া সবার হৃদয়ে দোলা দিয়েছে। কারণ বসন্তের সঙ্গে যোগ হয়েছে হৃদয়ের সঙ্গে হৃদয়ের মেলবন্ধনের দিন। অর্থাৎ বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। প্রিয়জনকে ফুল দিয়ে ভালোবাসা জানাতে এরই মধ্যে সব বয়সী মানুষের মাঝে উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে। বেড়ে গেছে গোলাপের চাহিদা।
সবার চাহিদাকে গুরুত্ব দিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন সাভারের বিরুলিয়ার গোলাপগ্রামের ফুল চাষিরা। একেকটি গোলাপ খুচরায় ৪০ এবং পাইকারিতে ২০ টাকায় বিক্রি করছেন তারা। ভালোবাসা দিবস ও পয়লা ফাল্গুন এবং ২১ ফেব্রুয়ারি ঘিরে প্রায় ২০ কোটি টাকার গোলাপ বিক্রির আশা তাদের।
বিরুলিয়ার গোলাপ চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস পালন করবে সবাই। এই দিনেই আগমন ঘটবে ঋতুরাজ বসন্তের। এর এক সপ্তাহ পর ২১ ফেব্রুয়ারি। এসব দিবস ঘিরে টানা পরিশ্রম করছেন গোলাপ চাষিরা। বাগানজুড়ে এখন গোলাপের সমারোহ। বলা যায়, গোলাপের রাজ্য। এই রাজ্যের রাজা দেড় হাজার চাষি।
স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রাকৃতিক অপরূপ সৌন্দর্যে ঘেরা সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের সাদুল্লাপুর গ্রাম। গ্রামের যে দিকেই চোখ যায়, চোখে পড়ে একটার পর একটা ফুলের বাগান। এর মধ্যে বেশিরভাগই গোলাপ বাগান। এজন্য এটি গোলাপগ্রাম নামে পরিচিতি পায়। যদিও ইউনিয়নের শ্যামপুর, সাদুল্লাপুর, মোস্তাপাড়া, বাগ্নিবাড়ি, বাটুলিয়া ও কমলাপুর গ্রাম মিলে মূলত গোলাপগ্রামের নামকরণ হয়েছে। এই নাম দিয়েছেন দর্শনার্থীরাই। প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে গোলাপ বাগান দেখতে আসেন হাজারো দর্শনার্থী।