দিল্লির 'ফ্রি' বিদ্যুৎ ব্যবস্থা এখানেও সম্ভব

সমকাল সাইফুর রহমান তপন প্রকাশিত: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:৩৪

এটা এখন প্রায় নিশ্চিত- সরকার বিদ্যুৎ খাতে আর ভর্তুকি দেবে না; ধাপে ধাপে হলেও খুব দ্রুত গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের মূল্য উৎপাদন খরচের সমান বা কাছাকাছি নিয়ে যাওয়া হবে। কথাটা এভাবে বলার কারণ হলো, সম্প্রতি সরকার বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধির ক্ষমতা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের হাত থেকে কেড়ে নিয়েছে। এ জন্য একেবারে ধর তক্তা মার পেরেকের মতোই ওই সময় সংসদ অধিবেশন না থাকায় প্রথমে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারি করা হয়। এর পর সংসদের চলতি অধিবেশনের শুরুতেই প্রায় বিনা আলোচনায় অধ্যাদেশটিকে আইনে রূপ দেওয়া হয়। ইতোমধ্যে তা ব্যবহার করে এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে দুই দফায় অত্যন্ত জরুরি এ সেবার মূল্য ১০ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী এও বলে রেখেছেন, প্রতি মাসেই তাঁরা বিদ্যুতের মূল্য 'অল্প অল্প' করে 'সমন্বয়' করবেন। সমন্বয় মানে পরিস্থিতি অনুসারে বাড়া বা কমা বোঝালেও শুধু বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাত নয়; গোটা অর্থনীতিতেই যে রাহুর দশা চলছে, অদূর ভবিষ্যতে তা যেমন কাটার সম্ভাবনা নেই, তেমনি বিদ্যুতের দামের সমন্বয়ও নিম্নমুখী হওয়ার কোনো অবকাশ নেই।


খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইদানীং বিদ্যুৎ-জ্বালানিতে ভর্তুকি নিয়ে যা বলছেন, তা ছয় মাস আগেও দেখা যায়নি। আমরা বরং বিভিন্ন সময়ে জনস্বার্থসংশ্নিষ্ট বিভিন্ন খাতে সরকারি ভর্তুকি অব্যাহত রাখার পক্ষে প্রধানমন্ত্রীকে খুব জোরালো কণ্ঠে বলতে শুনেছি। বহুবার তিনি বলেছেন, ভর্তুকি বিনা প্রয়োজনে নয় বরং এক ধরনের 'বিনিয়োগ' হিসেবেই দেওয়া হয়। হ্যাঁ, গত বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী সভায় (একনেক) প্রধানমন্ত্রী কর্মকর্তাদের ভর্তুকি থেকে বেরিয়ে আসার পন্থা খোঁজার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু তখনও তিনি বলেছিলেন, তা করা হবে ধাপে ধাপে। পরিকল্পনামন্ত্রী তখন প্রধানমন্ত্রীকে যেমনটা উদ্ৃব্দত করেছিলেন- 'ধীরস্থিরভাবে, জনগণের সয়ে নেওয়ার ক্ষমতা বুঝে এবং তা যেন কার্যকর করা যায় এমনভাবে।' আর গত কয়েক দিনে প্রধানমন্ত্রী একাধিকবার বলেছেন- বিদ্যুতের গড় উৎপাদন খরচ ১২ টাকা; কিন্তু ভোক্তাদের কাছ থেকে নেওয়া হয় মাত্র ৬ টাকা। অন্তত উৎপাদন খরচের সমান মূল্য না দিলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ সরকারের জন্য দুরূহ হয়ে যাবে।


প্রসঙ্গত, জ্বালানি খাতে বিশেষত জ্বালানি তেলে সরকার কিন্তু এখন কোনো ভর্তুকি দেয় না। বরং ডিজেল, পেট্রোল ও অকটেনের দর একসঙ্গে হিসাব করলে দেখা যাবে, সরকার দুই-তিন টাকা মুনাফা করছে। জাতীয় অর্থনীতি ও জনজীবনের অন্যতম চালিকাশক্তি হিসেবে পরিচিত এ খাতে অবশ্য ভ্যাটসহ বিভিন্ন ধরনের শুল্ক্ক হিসাব করে দেখানো যায়; সরকার ভর্তুকি আগেও দিত না। আর গ্যাস খাতের ভর্তুকিও কিন্তু এখন খুব বেশি নয়। বহু বছর ধরেই পেট্রোবাংলা- দেশে গ্যাস কেনা ও আমদানির দায়িত্বপ্রাপ্ত একমাত্র প্রতিষ্ঠানকে লাভজনক বলেই সবাই জানে। সে লাভে টান লেগেছে প্রথমত তরলীকৃত গ্যাস বা এলএনজি আমদানি শুরুর পর থেকে এবং দ্বিতীয়ত, যা ইদানীংকার পরিস্থিতি- বিশ্ববাজারে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাবে এলএনজির দাম অত্যধিক বেড়ে যাওয়ার কারণে।


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us