সম্প্রতি ঘটে যাওয়া র্যানসমওয়্যার সাইবার হামলার দায়ে সাতজন রুশ নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। যুক্তরাজ্যের বৈদেশিক দপ্তর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে জড়িত ব্যক্তিদের ছবি প্রকাশ করেছে। এ ছাড়া তাদের সম্পদ জব্দের পাশাপাশি ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। র্যানসমওয়্যার অপহরণে জড়িত অপরাধীদের মুক্তিপণ দাবির মতোই। কোনো কম্পিউটার নেটওয়ার্কে হামলা চালিয়ে সেটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় হ্যাকাররা। সেই নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য অর্থ দাবি করে তারা।
রাশিয়াভিত্তিক হ্যাকারদের নেটওয়ার্ক ট্রিকবটের সদস্য হিসেবে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে অভিযোগ তুলেছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ। ‘কন্টি’ ও ‘কিউক’ র্যানসমওয়্যারের মাধ্যমে করা সাইবার আক্রমণের মাধ্যমে ১৪৯ ব্রিটিশ নাগরিকের কাছ থেকে অন্তত ২ কোটি ৭০ লাখ ইউরো হাতিয়ে নিয়েছে এই চক্র।
যুক্তরাজ্যের জাতীয় অপরাধ সংস্থার মহাপরিচালক গ্র্যামি বিগগার বলছেন, এটি যুক্তরাজ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ঘটনা। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক সাইবার অপরাধীদের বিচ্ছিন্ন করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্মিলিত উদ্যোগ রয়েছে। যুক্তরাজ্য প্রথমবারের মতো এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
এ অপরাধ চক্রের মূল সদস্যদের সঙ্গে রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থার যোগাযোগ রয়েছে বলে আশঙ্কা করছে যুক্তরাজ্যের জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা সংস্থা। তবে এ অভিযোগের কোনো প্রমাণ এখনো মেলেনি।
র্যানসমওয়্যারকে প্রথম সারির জাতীয় সাইবার নিরাপত্তার হুমকি হিসেবে বিবেচনা করে ব্রিটিশ সরকার। স্কটিশ এনভায়রনমেন্ট সংস্থাসহ হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কম্পিউটার নেটওয়ার্ক এই কন্টি র্যানসমওয়্যার হামলার লক্ষ্যে পরিণত হয়েছে। ২০২১ সালের এক র্যানসমওয়্যার হামলায় ১ কোটি ৪৮ লাখ ইউরো হাতিয়ে নেয় অপরাধীরা।