বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রায়ই ঘটছে ‘বহিরাগতদের’ মারধর করে ছিনতাই, চাঁদাবাজি, হেনস্তা এমনকি শ্লীলতাহানির ঘটনা; দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেও এসব অপরাধে জড়াচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
তাদের হাত থেকে বাদ যাচ্ছে না বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীরাও, নারী হলেও অপদস্ত করা হচ্ছে নির্বিচারে।
অন্ধকার হতে না হতেই সংঘবদ্ধ কয়েকটি চক্র কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ফুলার রোড ও কার্জন হল প্রাঙ্গণে নেমে পড়ছে শিকারে; বিশেষ করে প্রেমিক-যুগল বা দম্পতিদের লক্ষ্য করে ‘বহিরাগত’ তকমা দিয়ে মারধর করে টাকা-পয়সা, মোবাইল ফোন ও দামি অলংকার ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ মিলছে অহরহ।
এছাড়া রাতের বেলা ক্যাম্পাসের ভেতর দিয়ে গাড়ি চলাচলে গতিরোধ করেও চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটে। এগুলোর কিছু কিছু ঘটনায় শাস্তিও হচ্ছে, তবে অপরাধ কমছে না।
দিন কয়েক আগে এমন ঘটনায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় ও বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির নেতা ও কর্মীদের বহিষ্কার এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলার পর বিষয়টি আবার সামনে এসেছে।
তথ্য বলছে, গত এক মাসেই এধরনের ঘটনা ঘটেছে ডজনেরও বেশি। আর এগুলোতে জড়িতদের অধিকাংশই ছাত্রলীগের নেতাকর্মী বলে অভিযোগ।
ভুক্তভোগী ও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ, থানায় মামলা বা সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ ছাড়াও এধরনের ঘটনা অনেক; যেগুলো ভুক্তভোগীরা সামাজিক হেনস্তা কিংবা ভয়ে চেপে যান।