আগুন-পানি-ভূমিকম্প বা মহামারীর মতো বিপর্যয় ধনী-গরিব, নারী-শিশু, দেবালয়-লোকালয়, আস্তিক-নাস্তিক চেনে না। কঠিন এ শিক্ষাটি দুনিয়াবাসী প্রায়ই মালুম করলেও আমলে রাখে না। কদিনেই ভুলে যায়। অথবা বিধাতার হুকুম বা প্রকৃতির লীলা ভেবে অগ্রাহ্য তালিকায় রেখে দেয়। আবার কোনো হুকুম বা লীলাকাণ্ড ঘটলে নড়েচড়ে বসে। চলে নানান তৎপরতা, সতর্কতার কথামালা।
ভূমিকম্প, ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, দাবানল শুধুই প্রাকৃতিক বিপর্যয় নয়। এসবের পেছনে মানবকুলের ভূমিকা বা দায় অনেক। প্রকৃতির ওপর অত্যাচারসহ মানুষের নানা ক্রিয়াকর্মের যোগফল এসব দুর্যোগকে আমন্ত্রণ করে। সহজ করে বিপর্যয়ের আগমন। তা তুরস্ক-সিরিয়া প্রতিবেশী দুই দেশে ঘটে যাওয়া ভূমিকম্প ও বহুসংখ্যক প্রাণহানিসহ ধ্বংসযজ্ঞের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। ভূমিকম্প ও ভূমিকম্পের পর ক্ষয়ক্ষতির পর্যাপ্ত কারণ তুরস্কে ছিল। সতর্ক বার্তাসহ কিছু আভাসও ছিল। ধরা পড়েছে সিরিয়ায় দুর্যোগ মোকাবিলা ও পূর্বপ্রস্তুতির ঘাটতিও।