একটা নিদারুণ খবরের পাশাপাশি আরেক আশাজাগানিয়া খবর দিয়ে শুরু হলো ৭ ফেব্রুয়ারির সকাল। তুরস্কে ভয়াবহ ভূমিকম্প এবং কৃষিজমি সুরক্ষায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার। নিজ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে কৃষিজমি সুরক্ষায় আবারও নির্দেশনা দিলেন প্রধানমন্ত্রী। সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব সংবাদ সম্মেলনে জানান, প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন, তিন ফসলি জমি ধ্বংস করা যাবে না। এ ধরনের জমিতে কোনো প্রকল্প নেওয়া যাবে না; বরং এই জমিগুলো রক্ষা করতে হবে।
তবে এই প্রথম নয়, এর আগে বহুবার, বহু অনুষ্ঠান এবং প্রকল্পের উদ্বোধনে বহু বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী কৃষিজমি সুরক্ষার ঘোষণা দিয়েছেন। ২০২২ সালের ১৯ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস ও প্রযুক্তি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও কৃষিজমি নষ্ট করে যেখানে-সেখানে শিল্পকারখানা না করার কথা বলেন তিনি। একই বছরের ৬ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও কৃষিজমি বিনষ্ট করে শিল্পায়ন না করার ঘোষণা দেন তিনি। ২০১৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী ভূমি মন্ত্রণালয় পরিদর্শন করে কৃষিজমি সুরক্ষা করে জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে নির্দেশনা দেন।
কৃষিজমি সুরক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য ও ঘোষণা একত্র করলে এই বিবরণ বেশ দীর্ঘ হবে। নির্বাচনী ইশতেহার থেকে শুরু করে নানা কর্মসূচি ও অনুষ্ঠানে দেশের আর কোনো রাজনীতিবিদ কৃষিজমি সুরক্ষায় এত বেশি ঘোষণা করেছেন কি না, জানা নেই। কিন্তু তারপরও কেন দেশে কৃষিজমি সুরক্ষিত থাকছে না? কেন প্রতিদিন বিদীর্ণ, চুরমার, উধাও হচ্ছে দেশের শত সহস্র বছরের কৃষিজমিগুলো? প্রধানমন্ত্রী ছাড়া অন্য কোনো জনপ্রতিনিধি ও রাজনীতিবিদ কেন কৃষিজমি সুরক্ষায় সাহসী অঙ্গীকার করছেন না?