তুরস্কে ভূমিকম্প : যে শিক্ষা নিতে পারে বাংলাদেশ

ঢাকা পোষ্ট সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা প্রকাশিত: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৪:৪৮

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কথা আজকাল অনেক শোনা যায়। বলা হয়, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এই মানবসভ্যতাই পাল্টে ফেলবে, মানুষের সব কাজকর্মই যন্ত্র করবে। যন্ত্রই মানুষকে চালাবে।


তথ্য প্রযুক্তির ব্যাপক প্রসারে, যোগাযোগের অসীম বিস্তারে এই ধারণা শক্তিশালী হয়েছে যে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে আধুনিক শিল্পসমৃদ্ধ সমাজে লোকে যান্ত্রিক জীবনযাত্রায় গা ভাসিয়ে আরামে বসবাস করবে। কিন্তু বিষয়টি যে তা নয়, তা বারবার দেখতে হচ্ছে আমাদের।


এত এত আধুনিক ব্যবস্থা, রাডার, আবহাওয়া নজরদারির ব্যবস্থা, প্রযুক্তি—কী নেই? তবুও কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হলো তুরস্ক ও সিরিয়ার একাংশ।


ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় নিহত মানুষের সংখ্যা ৫ হাজার ছাড়িয়েছে, আরও ছাড়াবে। ৬ ফেব্রুয়ারি তুরস্কের স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে এই ভূমিকম্প হয়। সিরিয়ার সীমান্তবর্তী তুরস্কের গাজিয়ান্তেপ শহরের কাছে ছিল ভূমিকম্পের কেন্দ্র।


ভূপৃষ্ঠের ১৭ দশমিক ৭ কিলোমিটার গভীরে ছিল এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৮। ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় ধসে পড়েছে হাজার হাজার ঘরবাড়ি, যার মধ্যে অনেক বহুতল ভবন রয়েছে। 


ভূপৃষ্ঠের ১৭ দশমিক ৭ কিলোমিটার গভীরে ছিল এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৮। ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় ধসে পড়েছে হাজার হাজার ঘরবাড়ি, যার মধ্যে অনেক বহুতল ভবন রয়েছে।


প্রযুক্তি এই পর্যায়ে পৌঁছেনি যে, ভূমিকম্পের কোনো পূর্বাভাস দেওয়া যায়। প্রকৃতি এমন ভয়ংকরভাবে নিরীহ মানুষের ওপর নেমে আসবে কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। ভূকম্পনের ফলে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল হাজারও ভবন। তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও বহুবার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে তুরস্কে।


সাধারণত, টেকটোনিক প্লেটের অবস্থান পরিবর্তনের ফলে ভূমিকম্প হয়। চারটি টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে তুরস্কের অবস্থান। তাই ভূমিকম্প ঝুঁকিতে যেসব দেশ আছে তাদের মধ্যে অন্যতম তুরস্ক।


তুরস্কের বেশিরভাগ অংশ অ্যানাটোলিয়ান টেকটোনিক প্লেটের উপর অবস্থিত। এটি আবার ইউরেশীয়, আফ্রিকান ও অ্যারাবিয়ান টেকটোনিক প্লেটের মধ্যস্থলে।


অ্যানাটোলিয়ান প্লেট ঘড়ির কাটার উল্টো দিকে ঘোরে। অন্যদিকে, আরবীয় প্লেট নিয়মিত আঘাত করে অ্যানাটোলিয়ান প্লেটকে। বারবার আঘাতের ফলেই হঠাৎ বড় কম্পন হয়।


ঠিক কোথায় ও কখন ভূমিকম্প হবে তার আগাম খবর দেওয়া অসম্ভব। অধিকাংশ বড় ভূমিকম্পের পরেই ঘটে বহুসংখ্যক ‘আফটারশক’, যেমন ঘটেছে তুরস্ক ও সিরিয়ায়। এর আগে এই অবস্থা আমরা দেখেছি নেপালেও। কিছু ক্ষেত্রে আবার প্রধান ভূকম্পের আগেও অনেক ছোট ছোট কম্পন অনুভূত হয়। বাংলাদেশে মাঝে মাঝেই ছোট ও মাঝারি কম্পন ঘটে।


অনেকেই আলোচনায় আনছেন বাংলাদেশ প্রসঙ্গ। পূর্বাভাস দিতে না পারলেও বিজ্ঞান কোনো বিশেষ দেশ বা স্থান কতটা ভূমিকম্প প্রবণ, কতটা ঝুঁকিপূর্ণ সেটা অনুমান করতে পারে। এর জন্যে দরকার প্রচুর তথ্য, নিয়মিত ভূতাত্ত্বিক পর্যবেক্ষণ, মাটি থেকে পুরোনো ভূকম্পনের ইতিহাস সম্পর্কে ধারণা রাখা।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us