এক জেলের বড়শিতে এক ঘণ্টায় ১১ লাল কোরাল

প্রথম আলো প্রকাশিত: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:৩৫

সেন্ট মার্টিনের দক্ষিণে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ছেঁড়াদিয়াতে এক জেলের বড়শিতে আজ বুধবার ১ ঘণ্টায় ১১টি লাল কোরাল ধরা পড়েছে। সেন্ট মার্টিনের গলাচিপা এলাকার জেলে আমির হোসাইনের (৪৫) বড়শিতে এগুলো ধরা পড়ে। সকাল ছয়টার দিকে ছেঁড়াদিয়ার পাথরখণ্ডে বড়শি ফেলে ৩ থেকে ৫ কেজি ওজনের ১১টি লাল কোরাল ধরেন তিনি। প্রতি কেজি লাল কোরালের দাম হাঁকেন ৭০০ টাকা করে।


ছেঁড়াদিয়ার চারদিকে ছড়িয়ে আছে পাথরস্তূপ। জোয়ারের সময় পাথরস্তূপ ডুবে যায়, ভাটার সময় ভেসে ওঠে। জোয়ারের সময় পাথরখণ্ডে বড়শি ফেললে লাল কোরালসহ বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছ ধরা পড়ে। তবে সব সময় ধরা পড়ে না।


১১টি লাল কোরালের ওজন ৪৫ কেজির বেশি হবে এবং এই মাছ বিক্রি করে ৩০ হাজার টাকার বেশি পাওয়া যাবে বলে আশা আমিন হোসাইনের। তিনি বলেন, সকাল সাতটার পর থেকে ছেঁড়াদিয়াতে পর্যটকের যাতায়াত শুরু হয়, সমাগম চলে সন্ধ্যা রাত পর্যন্ত। হইচই থাকলে বড়শিতে তেমন মাছ ধরা পড়ে না। অন্ধকার ও নির্জন পরিবেশে পাথরখণ্ডের পানিতে লাল কোরালের বিচরণ দেখা যায়। তবে পাথরখণ্ডে ওঠে বড়শি ফেলা কঠিন কাজ এবং পড়ে হাত পা কাটা পড়ার ভয়ে কেউ ঝুঁকি নিতে চান না। এ ছাড়া পাথরখণ্ডে আটকা পড়লে বড়শিও ছিঁড়ে যায়।


আমিন হোসাইন পেশায় জেলে। এক মাস ধরে সাগরের মাছ ধরার ট্রলার নামছে না, বেকার কয়েক শ জেলে। তাঁর পরিবারে মা, বাবা, স্ত্রী ও তিন ছেলে-মেয়ে। আয় রোজগারের তেমন কাজ নেই দ্বীপে। তাই টাকার প্রয়োজনে মাঝেমধ্যে বড়শি নিয়ে সাগরে যান। বেশির ভাগ সময়ই বড়শিতে মাছ ধরা পড়ে না। আজ একসঙ্গে ১১টি বড় বড় লাল কোরাল ধরা পড়ায় তিনি নিজেও অবাক হয়েছেন। মাছগুলো বিক্রির জন্য সেন্ট মার্টিনের বাজারে নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us