পোশাকের ক্রেতারা মুখ ফিরিয়ে নিতে পারেন

সমকাল প্রকাশিত: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:৫৩

কারখানা থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে নেওয়ার পথে কাভার্ডভ্যান থেকে তৈরি পোশাক চুরির ঘটনা বাড়ছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে কাভার্ডভ্যান ইটের ভাটা কিংবা গাড়ির গ্যারেজে নিয়ে পোশাক সরিয়ে রাখছে একটি চক্র। কার্টন থেকে পোশাক সরিয়ে সমান ওজনের মাটি কিংবা ঝুট দিয়ে ওজন ঠিক রাখা হচ্ছে। এভাবেই বন্দরের ডিপোতে পাঠানো হয়। সাগর পাড়ি দিয়ে দেড় থেকে দুই মাস পর ক্রেতার হাতে এ রকম কার্টন পৌঁছলে সরবরাহকারী উদ্যোক্তার জন্য তা মহাবিব্রতকর।


গত মাসে ব্রাজিলের একটি ক্রেতা প্রতিষ্ঠান তাদের পোশাক সরবরাহকারী কারখানাকে ভিডিওর মাধ্যমে জানায়, ক্রেতার কাছে পৌঁছানো সব কার্টনে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ পোশাক নেই। কিছু কার্টন একদম খালি পাওয়া গেছে। ওই চালানে ২৬ হাজার পিস পোশাক যাওয়ার কথা ছিল। এ ধরনের ঘটনায় একদিকে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে, অন্যদিকে পোশাক শিল্প ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ ক্রেতা হারাতে হচ্ছে। অপকর্ম বন্ধ না হলে বিদেশি ক্রেতারা বাংলাদেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবেন। এতে দেশের সার্বিক অর্থনীতিতে আঘাত আসবে।


এ ধরনের নৈরাজ্যকর ঘটনা বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে তৈরি পোশাক উৎপাদন ও রপ্তানিকারক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিজিএমইএ। জড়িত চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রয়োজনে আইন সংশোধনের দাবি করা হয়েছে সংগঠনের পক্ষ থেকে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে আগামী মাসের মধ্যে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা স্থাপনের কাজ শেষ করাসহ মোট পাঁচ দাবি জানায় বিজিএমইএ। গতকাল মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়। সংগঠনের অন্য দাবিগুলো হচ্ছে স্টকলট হিসেবে চুরির পণ্য রপ্তানি বন্ধে স্টকলটের উৎস নিশ্চিত করতে হবে। মহাসড়কে চুরি বন্ধে পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দাদের দায়িত্ব দেওয়া। কাভার্ডভ্যানের মালিক, চালক ও শ্রমিকদের ডাটাবেজ তৈরি করে যাচাইয়ের সুযোগ রাখা ইত্যাদি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us