ঢাকার কামরাঙ্গীর চরের রসুলপুরে এক মাদ্রাসা ছাত্র আত্মহত্যা করার পর তার পায়ুপথে ‘যৌন নিপীড়নের চিহ্ন’ পাওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
১৪ বছর বয়সী শিশুটি কামরাঙ্গীর চরে নুরিয়া মাদ্রাসায় হাফেজি পড়ত, সেখানেই থাকত। গত শুক্রবার হাফেজি শেষ করে পাগড়ি পায় সে। এরপর ছুটি পেয়ে ওইদিনই পূর্ব রসুলপুরের বাসায় ফেরে।
সেখানে একটি ভবনের ছয়তলায় ভাড়া বাসায় তার বাবা-মা ও ভাইয়েরা থাকে। সোমবার রাতে তাকে ঘরের ভেতর ঝুলন্ত অবস্থায় পায় স্বজনেরা। রাত পৌনে ২টায় কামরাঙ্গীর চর থানা পুলিশ শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কামরাঙ্গীরচর থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “বাসার সবার সঙ্গেই ভালো সম্পর্ক ছিল তার। সোমবার তার মাদ্রাসায় ফেরার কথা ছিল। তবে সেদিন সে তার বাবাকে জানায়, সে আরও একদিন বাসায় থাকবে। সোমবার রাতে সে তার দাদার হাত-পা ধুইয়ে দেয়। এরপর পাশের ঘরে ঢুকে সিটকিনি আটকে দেয়।
“পরিবারের লোকেরা ভেবেছে হয়ত সে মায়ের মোবাইল নিয়ে গেমস খেলছে। অনেকক্ষণ দরজা না খোলায় তারা কাঠের দরজার নিচের ফাঁকা দিয়ে ভিডিও অন করে একটি মোবাইল ঢুকিয়ে দেয়। পরে সুতা দিয়ে মোবাইল টান দিয়ে বাইরে এনে দেখে ফ্যানের সঙ্গে মায়ের ওড়না দিয়ে ঝুলছে ছেলেটি।”