অনুশীলনের সময় নেটে ব্যাটিং করা পছন্দ নয় আকবর আলীর। বদ্ধ জায়গায় ব্যাটিং করে মাঠের আবহটা ঠিক পাওয়া যায় না। আসলে তাঁর অনুশীলনটাকে ঠিক ব্যাটিংও বলা যায় না। হিটিং বলাই শ্রেয়। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তাঁকে বেশির ভাগ সময় নামতে হয় ইনিংসের শেষের দিকে। তখন চাহিদাই থাকে চার-ছক্কার। সে জন্য যে অনুশীলন দরকার, সেটা নেটের চেয়ে খোলা মাঠে করতে পারলেই ভালো। উড়িয়ে মারা বলটা কত দূর গেল, সেটা দেখেও তো কিছুটা আত্মবিশ্বাস পাওয়া যায়!
আকবরের আত্মবিশ্বাস অর্জনের জন্য ওই অনুশীলনই ভরসা। শুধু আকবর নন, বিশ ওভারের খেলায় যাঁদের স্বপ্ন ফিনিশার হওয়ার, তাঁদের সবারই একই অবস্থা। ঘরোয়া পর্যায়ে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি খেলার সুযোগ হয় শুধু বিপিএলে। সেখানে লিগ পর্বের ১২টি ম্যাচের মধ্যে ফিনিশারের দায়িত্বে থাকা খেলোয়ারদের ম্যাচ শেষ করে আসার সুযোগ বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মেলে না। যে কয়টা ম্যাচে সুযোগ পান, তার মধ্যেই সামর্থ্যের প্রমাণ দিতে হয়।
জাতীয় দলে দায়িত্বটা নুরুল হাসানের। বিপিএলে যেহেতু ফিনিশারদের ম্যাচ শেষ করে আসার সুযোগ কম, কেউ অন্তত দুইটি ম্যাচ জেতাতে পারলেও সে ক্রিকেটার তাঁর কাজটা ঠিকঠাকমতো করছেন বলে মনে করেন তিনি, ‘যদি কেউ দুটি ম্যাচ জেতাতে পারেন,তাহলেই তিনি খুশি হতে পারেন। দুটি থেকে তিনি তিনটি ম্যাচ শেষ করে আসার স্বপ্ন দেখবেন, এরপর চারটি। এভাবে ধীরে ধীরে আত্মবিশ্বাস বাড়বে, যা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অনেক বেশি কাজে দেবে।’