রাজধানীর নীলক্ষেতে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কর্মজীবী মহিলা হোস্টেলের পুরোনো দুটি ভবনে এক কক্ষে চারজনের একটি আসনের ভাড়া মাসে ১ হাজার ১২০ টাকা। পুরোনো ভবনের পাশেই নতুন একটি ১০ তলা ভবন হয়েছে। সেটিতে এক কক্ষে চারজন থাকতে জনপ্রতি ভাড়া ৩ হাজার ৭৪৬ টাকা। অর্থাৎ নতুন ভবনে ভাড়া তিন গুণের বেশি।
নতুন ভবনে কক্ষ পুরোনোটির চেয়ে একটু বড়। বাড়তি সুবিধা হলো, এতে বিউটি পারলার, লন্ড্রি ও ব্যায়ামাগারের জায়গা রয়েছে। সমস্যা হলো, উদ্বোধনের ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও এসব সুবিধা চালু হয়নি। কবে চালু হবে, তা-ও নিশ্চিত নয়। নতুন ভবনের বাসিন্দা কর্মজীবী নারীরা বলছেন, ভবনটিতে ঝাড়বাতি ও এলইডি বাতির নির্দেশকের মতো বিলাসিতা করা হয়েছে। কিন্তু যে সুবিধা খুবই জরুরি, সেই ক্যানটিন সুবিধা নেই। খেতে হয় পুরোনো ভবনে গিয়েই। নারীদের জরুরি পণ্য বিক্রির দোকানও নেই।
সব মিলিয়ে পরিস্থিতি এই দাঁড়িয়েছে যে সাধারণ কর্মজীবী নারীদের অনেকে নতুন ভবনের আসন ছেড়ে দিয়ে পুরোনো ভবনে যাওয়ার আবেদন করেছেন। জানতে চাইলে বিষয়টি স্বীকার করেন সম্প্রতি যোগ দেওয়া হোস্টেল সুপার ছামিনা হাফিজ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, নতুন ভবনের নির্ধারিত ভাড়া দিতে কারও কারও কষ্ট হচ্ছে। তাঁরাই পুরোনো ভবনে যাওয়ার আবেদন করছেন।
নতুন ভবনে ভাড়া এত বেশি কেন জানতে চাইলে ছামিনা হাফিজ বলেন, তাঁর জানামতে গণপূর্ত অধিদপ্তর কক্ষের আয়তন ও এলাকা বিবেচনায় যে ভাড়া নির্ধারণ করে দিয়েছে, সেটাই পরে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তিনি মনে করেন, এক কক্ষে চারজন থাকার ক্ষেত্রে জনপ্রতি যে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে, সেটি বেশি। তবে এক কক্ষে একজনের জন্য নির্ধারিত ভাড়া ঠিকই আছে।