সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান বইয়ে আদৌ কোনো চৌর্যবৃত্তি হয়েছে?

বিডি নিউজ ২৪ সৈয়দ আশরাফউদ্দিন আহমেদ প্রকাশিত: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২১:১৭

আলোচনার শুরুতেই পরিষ্কার করে নিতে চাই যে, লেখালেখির জগতে, বিশেষ করে গবেষণা ও শিক্ষাঙ্গনে অন্যের লেখা, ডাটা, মতবাদ, বা ভাবনাকে নিজের বলে চালিয়ে দেয়া একটি গুরুতর অপরাধ, যা সব পরিস্থিতিতেই নিন্দনীয় এবং পরিত্যাজ্য। সব লেখাই মৌলিক হওয়া উচিৎ। অন্যথায় লেখার কোন অংশটি কোথা থেকে নেয়া হয়েছে তা উল্লেখ করতে হবে।


গত ১৫ই জানুয়ারি প্রথম আলোর মতামত বিভাগে জনৈক নাদিম মাহমুদ লিখিত ‘সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান বই : হুবহু চুরি আর গুগোলের অনুবাদে শিক্ষার্থীরা কী শিখবে?’ শিরোনামে একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হবার পর থেকেই বিভিন্ন সংবাদপত্র, সোশ্যাল মিডিয়া এবং টকশোতে এ নিয়ে বিস্তর আলোচনা হচ্ছে। এর ফলশ্রুতিতে আমজনতার কাছে এ কথা প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে যে উল্লিখিত বইটিতে আসলেই চুরি করে কিছু লেখা হয়েছে। নতুন কোনো বই লেখা হলে তা স্বকীয় হওয়া বাঞ্চনীয় কিন্তু উপরোক্ত অভিযোগটি পড়ে আমার মনে হয়নি যে বইটিতে ‘চুরি’ অথবা ‘হুবহু চুরি’ করা বা কিছু ‘হুবহু মেরে দেওয়া’ হয়েছে। অভিযোগটিতে বাংলা ভার্সন থেকে ইংরেজি ভার্সনে গুগোলের সাহায্যে অনুবাদ সম্পর্কে এবং সংযোজিত ছবি সম্পর্কে যা বলা হয়েছে আমি সে সম্পর্কে কিছুই বলছি না, কারণ সেগুলো ভিন্ন বিষয়।


আধুনিক জীবনযাত্রার প্রায় সবকিছুর ন্যায় প্লেজারিজম বা লেখালেখি ও গবেষণাকার্যে চৌর্যবৃত্তির ধারণাটিও আমরা পাশ্চাত্য থেকেই নিয়েছি। তবুও বাংলাদেশে এ সম্পর্কে নীতিমালা এখনও সহজলভ্য নয়। ফলে গুগোলে অনুসন্ধান করে নির্ভরযোগ্য কোনো সূত্র পাইনি। পাশ্চাত্যে এটি নৈতিক অপরাধ বলে বহুল স্বীকৃত। গুগোলের অনুসন্ধানে পাওয়া পাশ্চাত্যের বেশ কয়টি ওয়েবসাইট থেকে আপাত-নির্ভরযোগ্য সূত্রে পাওয়া তিনটি তথ্য নিয়ে আলোচনা করছি। আশাকরি বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য হবে।

প্লেজারিজম বা বুদ্ধিবৃত্তিক চুরি: যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ওয়েবসাইটে প্লেজারিজম বা বুদ্ধিবৃত্তিক চুরির সংজ্ঞা দেয়া আছে এইভাবে– ‘অনুমতি নিয়ে বা না নিয়ে (এবং) পুরোপুরি কৃতজ্ঞতা স্বীকার না করে (বা স্বীকৃতি না দিয়ে) অন্য কারও কাজকে নিজের বলে চালিয়ে দেয়া’ (Plagiarism is presenting someone else’s work or ideas as your own, with or without their consent, by incorporating it into your work without full acknowledgement. Plagiarism | University of Oxford)। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সংজ্ঞা অনুযায়ী প্লেজারিজম হচ্ছে ‘অন্য কারও ধারণা (বা ভাব) এবং কাজ চুরি। এটি হচ্ছে তথ্যসূত্র উল্লেখ না করেই সাধারণ জ্ঞানের বাইরে অন্য সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য, ধারণা অথবা বিশেষ প্রকাশ নিজের লেখায় জুড়ে দেয়া’। (Plagiarism is the theft of someone else’s ideas and work. It is the incorporation of facts, ideas, or specific language that are not common knowledge, are taken from another source, and are not properly cited Academic Integrity | Harvard Extension School.


আর কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের লিগাল ইনফরমেশন ইন্সটিটিউটের সংজ্ঞা অনুযায়ী ‘অন্যের মূল রচনা থেকে কিছু গ্রহণ করে তা নিজের বলে চালিয়ে দেয়াকে বুদ্ধিবৃত্তিক চুরি বলা হয় (Plagiarism is the act of taking a person’s original work and presenting it as if it was one’s own. plagiarism | Wex | US Law | LII / Legal Information Institute (cornell.edu))।


পাঠক লক্ষ করুন, বাংলায় আমার অনুবাদ করা সংজ্ঞাগুলো ইংরেজি থেকে হুবহু অনুবাদ না হয়ে ভাবানুবাদ হয়েছে।


এই তিনটি সংজ্ঞা অনুযায়ী প্লেজারিজম বা বুদ্ধিবৃত্তিক চুরির তিনটি বিশেষত্ব থাকা অপরিহার্য। তা হলো ১) সাধারণ জ্ঞানের বাইরে ২) অন্যের ভাব, বক্তব্য বা বর্ণনা লেখায় সন্নিবেসিত করে তা নিজের বলে চালিয়ে দেয়া এবং তা করতে গিয়ে ৩) অনুমতি বা তথ্যসূত্র উল্লেখ না করা। এই তিনটি বিশেষত্বের অভাব থাকলে তাকে প্লেজারিজম বলা যায় কিনা তা আমাদের বিচার করতে হবে। এখন সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান বইয়ের যে অংশগুলোকে ‘হুবহু চুরি’ বা প্লেজারিজম বলা হচ্ছে, তা এই তিনটি অপরিহার্যতার আলোকে বিশ্লেষণ করা যেতে পারে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us