অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিম উপকূলে ডলফিনের সঙ্গে নদীতে সাঁতার কাটতে নেমেছিল এক কিশোরী। অগত্যা হাঙরের মুখে পড়ে সে। অবশেষে হাঙরের আক্রমণে প্রাণ গেলো সেই ১৬ বছর বয়সী কিশোরীর। পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটের দিকে তাদের খবর দেওয়া হয়। পার্থের ফ্রেম্যান্টল বন্দর এলাকায় সোয়ান নদীর একটি সেতুর কাছে এ ঘটনাটি ঘটে। আহত অবস্থায় ওই কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়।
পরে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশন বলছে, তবে ওই কিশোরী কোন ধরনের হাঙরের আক্রমণের শিকার হয়েছিল তা নিশ্চিত হতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, ওই কিশোরী তার বন্ধুদের সঙ্গে ছিল। সে জেট স্কি থেকে লাফ দিয়ে একদল ডলফিনের সঙ্গে সাঁতার কাটছিল। এ সময় হাঙরের হামলার শিকার হয়। এ ঘটনার পর সোয়ান নদীসংলগ্ন এলাকায় যেতে লোকজনকে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করার আহ্বান জানানো হয়েছে। আরও পড়ুন> হাঙরের আক্রমণে নারীর মৃত্যু, সমুদ্রসৈকত বন্ধ মিশরের পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার জলসীমায় সবশেষ হাঙর আক্রমণের ঘটনা ঘটে ২০২১ সালের নভেম্বরে।
পার্থের পোর্ট বিচে সাদা হাঙরের আক্রমণে ৫৭ বছর বয়সী এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। এর আগে, ২০২১ সালে জানুয়ারিতে সোয়ান নদীতে সাঁতার কাটতে গিয়ে হাঙরের আঘাতে এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হন। জানা গেছে, পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ায় একশর বেশি প্রজাতির হাঙর বাস করে। দেশটির পূর্ব উপকূলে, গত ফেব্রুয়ারিতে হাঙরের আক্রমণে একজন সাঁতারু মারা যাওয়ার পরে আইকনিক বন্ডি এবং ব্রোন্টেসহ বেশ কয়েকটি সিডনি সৈকত বন্ধ করে দেওয়া হয়। কমপক্ষে ৬০ বছরের মধ্যে শহরের সমুদ্র সৈকতে প্রথম এ ধরনের প্রাণহানির ঘটনা ছিল এটি। রাজ্য সরকারের মতে, হাঙর আক্রমণের ঝুঁকি এখন কম। প্রথম ঘটনার পর একটি রিসপন্স ইউনিট গঠন করা হয়েছে। ইউনিভার্সিটি অব ফ্লোরিডার পরিসংখ্যান বলছে, ২০২১ সালে হাঙর আক্রমণের ঘটনার দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পরেই অস্ট্রেলিয়ার অবস্থান।